দেহঘড়ি

ব্ল্যাক কফির অপকারিতা এড়াতে করণীয়

এক কাপ ব্ল্যাক কফি পান করে খুব সহজেই শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এই কফির কিছু অপকারিতাও আছে। চিকিৎসকেরা বলেন, যাদের অ্যালার্জি আছে এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে ব্ল্যাক কফি ক্ষতিকর হতে পারে। ব্ল্যাক কফি পান করার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে, ঘুমের ব্যঘাত ঘটতে পারে।অনেক সময় শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হতে পারে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে পারে। তবে নিয়ম মেনে ব্ল্যাক কফি পান করে উপকারিতা পেতে পারেন।

১. প্রতিদিন ২০০-৪০০ মিলিগ্রামের বেশি ব্ল্যাক কফি পান করা যাবে না।

২. খালি পেটে ব্ল্যাক কফি পান করা যাবে না। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাকস্থলির ক্ষতি এড়াতে খাওয়ার ১ ঘণ্টা পরে ব্ল্যাক কফি পান করতে পারেন। খাবার গ্রহণের পরপরই ব্ল্যাক কফি পান করলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

৩. কফি পান করার পর ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে। এতে পানিশূণ্যতা তৈরি হতে পারে। এই সমস্যা মোকাবিলায় কফি পান করার পরে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

৪. ব্ল্যাক কফির সবচেয়ে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ঘুমের ব্যাঘাত এড়াতে ঘুমানোর অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে ব্ল্যাক কফি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

৫. ব্ল্যাক কফি বাছাই করার ক্ষেত্রে ডিক্যাফিনেটেড কফি বেছে নিতে পারেন। এতে ক্যাফিনের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে পারবেন।

সূত্র: হেলথ শর্টস