চিকিৎসকেরা বলেন, সিস্টোলিক রক্তচাপ যখন ৯০ মি. মি. মার্কারি এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মি. মি. মার্কারির নিচে নেমে আসে তখন তাকে নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার বলা হয়। লো প্রেসার হলে এবং রক্তচাপের মাত্রা কমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃৎপিণ্ডে ভালোভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে অসুস্থতা দেখা দেয়।
লো প্রেসারের রোগীদের নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ করা উচিত। কিছু খাবার রয়েছে যা রক্তচাপ বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।
বিটরুট: রঙিন সবজি বিটরুট। এতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ। এই সবজি নাইট্রিক অক্সাইডে ভরপুর। যা রক্তনালীকে ভালো করতে সাহায্য করে। বিটরুট খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসে। বিটরুটে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। ফলে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। বিটরুট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ জন্য প্রতিদিন ডায়েটে বিটরুট রাখতে পারেন। বিটরুটের তরকারি রান্না করতে পারেন আবার বিটরুটের জুসও খেতে পারেন।
কিশমিশ: স্ন্যাকস হিসেবে কিশমিশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এতে আছে জরুরি সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা প্রদাহ কমায়। শুধু তাই নয়, কিশমিশে থাকা পটাশিয়ামের গুণে প্রেসার কন্ট্রোলে চলে আসে। অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েটে কিশমিশ রাখার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আমন্ড: আমন্ডে রয়েছে অত্যন্ত জরুরি ফ্যট। এতে আছে ম্যাগনেশিয়াম। যা লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০টি আমন্ড খেলে উপকার মিলতে পারে।
ডার্ক চকোলেট: ভালো মানের ডার্ক চকলেট খেলে লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ব্রাউন রাইস: লো প্রেসারের রোগীদের জন্য ব্রাউন রাইস উপকারী। ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ এই খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
সূত্র: এই সময়