দেহঘড়ি

ঠান্ডা কাশি কেন হয়, প্রতিরোধে করণীয়

শীত এলেই ঘন ঘন ঠান্ডা- কাশিতে ভুগতে হয়। এই সময় শরীরে ভাইরাস দ্রুত আক্রমণ করে। কেউ কেউতো পুরো শীতকাল জুড়ে ঠান্ডা-কাশিতে ভুগে থাকেন। এ সময় মাথা ভার থাকা, গলা ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব অনুভূত হয়। কিন্তু কেন হয় এসব সমস্যা?— এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি: শীতকালে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি পাওয়ার সুযোগ কমে যায়। এই সময় সূর্যের আলো খুব সময়ের জন্য থাকে। যারা ঘর থেকে বের হন না তাদের শরীরে সহজেই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়। এই সমস্যা মোকাবিলায় শীতকালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। কারণ ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।

আয়রনের ঘাটতি: শীতকালে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে আয়রনের ঘাটতি। সাধারণত নারীরা এই সমস্যায় বেশি ভুগে থাকেন। শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে। শীতকালে আয়রণ সমৃদ্ধ খাবার ডায়েটে যুক্ত করতে পারেন।

ভিটামিন সি-এর ঘাটতি: সর্দি-কাশিতে ভোগার আরেকটি কারণ হচ্ছে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি-এর অভাব। এই পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিলে শরীরে সহজেই ভাইরাস আক্রমন করতে পারে। এবং সর্দি-কাশিসহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ জরুরি।

উল্লেখ্য, শীতে বাতাসে ধুলাবালির প্রকোপ অনেক বেশি থাকে। শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ধুলাবালি, জীবাণু বা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলেও সর্দি-কাশি হতে পারে। এই সমস্যা মোকাবিলায় ঘর থেকে বের হলে নিয়মিত মাস্ক পরতে পারেন।  সিএন এন এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  কোভিড চলাকালে দেখা গেছে মাস্ক ঠান্ডা বাতাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। মাস্ক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ভাইরাস প্রবেশে বাধা দেয়। আবার এটি সোয়েটার পরার মতো নাককে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। সহজে রোগ প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।