শীতকালে শরীরের সুস্থ্যতার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কিছু শুকনো ফল থেকে পেতে পারেন। প্রয়োজনীয় খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যোগান পেতে স্ন্যাকস হিসেবে যেগুলো খেতে পারেন-
বাদাম: বাদাম সবচেয়ে প্রিয় শুকনো ফল, বিশেষ করে শীতকালে। এগুলো কুড়কুড়ে, স্বাদযুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের একটি চমৎকার উৎস। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বাদাম ভিটামিন ই এর একটি বড় উৎস, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায়। কারণ এই সময়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এগুলোতে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা শক্তির মাত্রা বাড়াতে এবং পেশীর কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। বিকেলে অতিথি আপ্যায়নেও রাখতে পারেন শুকনো বাদাম।
আখরোট: শীতকালীন নাস্তার জন্য আখরোট আরেকটি ভালো পদ হতে পারে। এই ফল ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা হার্টের স্বাস্থ্যর জন্য ভালো। আখরোটে থাকা পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। আখরোট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় উৎস। এই উপাদান আপনাকে শীতকালীন বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। শীতকাল মানে ফ্লু মৌসুম। এই মৌসুমে ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়তে পারে আখরোট। আখরোট ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন বেকড খাবারেও। আখরোট অন্যান্য শুকনো ফলের সঙ্গে মিশ্রিত করেও খেতে পারেন।
খেজুর: শুকনো খেজুর একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সস। এতে আছে প্রাকৃতিক শর্করা এবং অন্যান্য পুষ্টি যেমন ফাইবার এবং পটাসিয়াম। যা দ্রুত শক্তি প্রদান করতে পারে। খেজুরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই উপাদান শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। পুডিং বা কেকের সঙ্গে মিষ্টি হিসেবে যোগ করতে পারেন খেজুর।
কাজু বাদাম: কাজু বাদাম হলো এক ধরনের মাখন। এই ফল স্বাদে মিষ্টি এবং তৃপ্তিদায়ক। শীতকালে এই ফল খেয়ে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পেতে পারেন। এ ছাড়াও কাজু বাদামে রয়েছে জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম। শীতকালে যা বিশেষভাবে সহায়ক। কাজু বাদাম রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম পেশী ফাংশন ভালো রাখে, স্নায়ুতন্ত্রকে ভালো রাখে এবং ঘুমের উন্নতি করে। কাজু কাঁচা বা ভাজা খাওয়া যেতে পারে, সুস্বাদু খাবারে যোগ করা যেতে পারে বা এমনকি কাজু বাদাম থেকে মাখন তৈরি করা যেতে পারে।
সূত্র: হেলথ শর্টস