অ্যালার্জি বাড়াতে পারে এমন খাবারের নাম লিখলে দীর্ঘ একটা লিস্ট তৈরি করা যাবে। যেহেতু অ্যালার্জি বাড়লে অ্যাজমা বেড়ে যায় সেজন্য অনেকক্ষেত্রে অ্যাজমা রোগীরা সব ধরনের অ্যালার্জিক খাবার এড়িয়ে যান। এতে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, সব খাবার অ্যালার্জিক খাবার রোগীর জন্য খারাপ নয়। প্রত্যেকের অ্যালার্জিক খাবার ভিন্ন ভিন্ন। বিশেষ বা নির্দিষ্ট দুই, তিনটি খাবার রোগীর জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এজন্য কোন কোন খাবারে সমস্যা তৈরি হয়, সেগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এবং রোগীর খাদ্য তালিকা থেকে ওই নির্দিষ্ট দুই তিন প্রকার খাবার বাদ দেওয়া প্রয়োজন।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা, রাজীব কুমার সাহা বলেন, ‘‘ খাবারের সঙ্গে অ্যাজমার অবশ্যই সরাসরি কিছু সম্পর্ক রয়েছে। কেউ বলে, ইলিশ মাছ খেলে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে আবার কেউ বলে গরুর মাংস খেলে অ্যালার্জি বাড়ে। অনেকের বেগুন বা চিংড়ি খাওয়ার পরে অ্যালার্জি বাড়ে। এসব খাবারের পাশাপাশি বেশ কিছু ফলমূল রয়েছে যেগুলো অ্যালার্জি বাড়াতে পারে। অ্যালার্জি বাড়াতে পারে এমন খাবারের লিস্টে প্রায় ২০-২৫টি খাবার আছে। একজন অ্যাজমার রোগীকে আমরা কখনোই বলি না যে, সবগুলো খাবার বাদ দিতে হবে। শুধুমাত্র যে খাবারটি খেলে অ্যালার্জি হচ্ছে বা অ্যাজমা রোগ বেড়ে যাচ্ছে সেই খাবারটি বাদ দিতে হবে। এজন্য প্রথমে বুঝতে হবে কোন খাবার থেকে রোগীর অ্যাজমা বেড়ে যাচেছ। এটি বোঝার জন্য স্ক্রিন টেস্ট, অ্যালার্জি প্যানেল টেস্ট করাতে হবে। এতে বোঝা যাবে কোন খাবারে রোগীর অ্যাজমা বেড়ে যাচ্ছে।’’
‘‘ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দুই বা তিন প্রকারের খাবারে সমস্যা বাড়তে পারে। ওই খাবারগুলো বাদে রোগীদেরকে আমরা বাকি খাবারগুলো খেতে বলি। এতে রোগী তার নরমাল লাইফস্টাইল মেনে চলতে পারেন। শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, অ্যালার্জি বাড়াতে পারে এমন সব খাবার খাওয়ানো বাদ দিলে তাদের গ্রোয়িং সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিম, দুধ, মাংস শিশুর খাদ্য তালিকা থেকে বাদ হয়ে গেলে বাবা মায়েরাও সমস্যায় পড়ে যান। কিন্তু অ্যালার্জি প্যানেল টেস্টটা করিয়ে নিলে এই সমস্যায় পড়তে হয় না। ’’—যোগ করেন ডা. রাজীব কুমার সাহা
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সাধরণত বলি যে ঠান্ডা খাবার অ্যাজমা রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত। যেমন—ঠান্ডা আইসক্রিম, ফ্রিজের পানি ইত্যাদি।’’