দেহঘড়ি

ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

ফ্লু হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট শ্বাসযন্ত্রের রোগ। ফ্লুর প্রভাব হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা ফ্লুতে বেশি আক্রান্ত হন। শীতকালে গলা ব্যথা, গলা ফুলে যাওয়া, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হওয়া ফ্লুর উপসর্গ। এইসব রোগ পাঁচ থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে যতোটা সম্ভব বিশ্রাম নেওয়া উচিত এবং সম্ভব হলে ঘরে থাকা উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। তারা বলেন, ফ্লুর সিজনে অনেক বেশি তৈলাক্ত খাবার, কড়া ভাজাপোড়া খাবার এবং প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। ফ্লু প্রতিরোধে কোন কোন খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন, ডা. কৌশিক মুখার্জী, মেডিসিন স্পেশালিস্ট, কলকাতা।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এর ফলে পানিশূন্যতা তৈরি হবে না। 

পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে, যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। 

ফ্লু প্রতিরোধে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া জরুরি। এতে থাকা ওমেগা থ্রি আমাদের শরীরের যেকোন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা দেয়।

তরকারিতে আদা ও রসুন খেতে হবে। সর্দি, কাশির মতো ফ্লু প্রতিরোধ করতে পারে আদা ও রসুন।

মুরগির মাংস ‘চিকেন স্ট্যু’ করে খাওয়া যেতে পারে। এর সঙ্গে নানা রকম সবজি মিশিয়ে নিতে পারেন। গলা ধরে থাকা, গলা ব্যথা বা সর্দি সর্দিভাব অনেকাংশে কেটে যায়। 

শীতকালে ফ্লু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন। এই খাবার থেকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন এবং মিনারেলস পেতে পারেন। 

এই ফ্লুর সিজনে মাশরুম খেতে পারেন। এই খাবার শরীরে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস প্রতিরোধে সহায়তা করে।

টক দই খেতে পারেন। ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সহায়তা দিতে পারে টক দই।

হলুদ ও মধু একসঙ্গে খেতে পারেন একে সাধারণ সর্দি, কাশি থেকে অনেকাংশে দূরে থাকা সম্ভব। 

ডা. কৌশিক মুখার্জী আরও জানিয়েছেন, ফ্লু প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে।