দেহঘড়ি

কীভাবে বুঝবেন টনসিলে পাথর হয়েছে

মানুষের গলার ভেতর দুই পাশে থাকা দুটি গ্রন্থিকে টনসিল বলা হয়। যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই টনসিল শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাবারের মাধ্যমে বা বিভিন্নভাবে শরীরে যে রোগজীবাণু প্রবেশ করে তা ধ্বংস করে টনসিল। টনসিলে পাথর হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। 

নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. ইন্দ্রনীল পাল বলেন, ‘‘টনসিলে দীর্ঘদিন ইনফেকশন থাকলে টনসিলে ছোট ছোট ছিদ্র হয়ে থাকে। এই ছিদ্রগুলোর ভেতর খাবার জমে যায়। সেগুলো পরে শুকিয়ে যায়। এই শুকিয়ে যাওয়া খাবার যদি টনসিলের ছিদ্রগুলোতে দীর্ঘদিন থাকে তাহলে ওখানে ক্যালসিয়াম জমা হয়ে যায়। এবং পাথর তৈরি হয়।’’

টনসিলে পাথর হওয়ার লক্ষণ: 

টনসিলে ব্যথা হতে পারে ইনফেকশন হতে পারে কানে ব্যথা হতে পারে এ ছাড়া খুব কম সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে ইনফেকশনের স্থান থেকে পুঁজ বের হতে পারে

নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. ইন্দ্রনীল পাল আরও বলেন, ‘‘এই রোগ হলে একটাই সমাধান তাহলো পাথরগুলো অপসারণ করা। এজন্য একজন ইএনটি স্পেশালিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন। কারও কারও ক্ষেত্রে টনসিলের আক্রান্ত অংশ কেটে বাদও দেওয়া লাগতে পারে।’’

প্রতিরোধে করণীয়:  যেহেতু আক্রান্ত রোগীর লালা বা থুথুর মাধ্যমে অন্যরাও সংক্রমিত হতে পারেন সেহেতু গলায় ইনফেকশন বা টনসিলের সমস্যায় আক্রান্তদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় সর্তকতা মেনে চলতে হবে। সুস্থতার জন্য ঠান্ডা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।