করোনাকালে সুস্থ জীবনযাপন ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে থাকার সময় শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাটমুক্ত খাবার খেতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবারের কারণে স্ট্রোক এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। করোনার কারণে ঘরে বন্দি থাকায় মানুষের শারীরিক কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমেছে। তাই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
কী ধরনের খাবার খেতে হবে—সে বিষয়ে প্রতিদিনিই স্বাস্থ্য বুলেটিনে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
জানতে চাইলে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর বাংলাদেশ এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, হৃদরোগসহ সব অসংক্রামক ব্যাধি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির দৈনিক ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণ হওয়া উচিত দৈনিক ২০০০ ক্যালোরির ডায়েটে ২.২ গ্রামের চেয়েও কম।
ট্র্যান্স ফ্যাট কী জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞরা জানান, ট্রান্স ফ্যাট এক ধরনের হাইড্রোজেনেটেড অয়েল। এই আংশিক হাইড্রোজেনেটেড তেলই শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাটের প্রধান উৎস, যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামেও পরিচিত। যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, স্ন্যাক্স ফুড, ভাজাপোড়া খাবার, বিস্কুট, কুকিজ, মার্জারিন এগুলোতে ট্রান্স ফ্যাট থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৩ সালের মধ্যে শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাটমুক্ত বিশ্ব অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ভারত, থাইল্যান্ড, ইরান, অস্ট্রিয়া, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলসহ মোট ৩০টি দেশে খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ কার্যকর করেছে। এছাড়া আরও ২৪টি দেশ ট্রান্স ফ্যাটের সর্বোচ্চ মাত্রা ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছে।
সংস্থাটি বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড মেনেই শিগগিরই এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সাওন/সাইফ