ঈদুল আজহার বাকি আছে আর মাত্র এক সপ্তাহ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলীসহ অন্য হাটগুলোতে। হাটের আয়োজন আরও আগেই শুরু করেছিলেন ইজারাদাররা। পশু ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, মূলত ঈদের তিন দিন আগে হাটগুলো পুরোপুরি জমে উঠবে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, অনেক ব্যবসায়ী গরু-ছাগল নিয়ে বসে আছেন। তবে, আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না। ক্রেতার উপস্থিতি কম হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত দামও উঠছে না কোরবানির পশুর। বিক্রিও তেমন হচ্ছে না।
হাটে হানিফ মিয়া নামের এক পশু ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি ১০টি গরু নিয়ে এখানে এসেছি গতকাল রাতে। এবার একটু আগেভাগেই এসেছি। যদি দামে মিলে যায়, তাহলে তাড়াতাড়ি বিক্রি করে বাড়ি চলে যাবো।’
গরুর দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যে গরুগুলো আছে, সেগুলোর দাম ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এত দাম দিয়ে গরু কেনার মতো ক্রেতা এখনও হাটে আসেনি।’
কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে এসেছেন মাহাতাব হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি চারটি গরু নিয়ে এসেছি। এর মধ্যে একটি গরু আকারে অনেক বড়। অনেকেই সেটা দেখতে আসছেন।’
এ গরু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এর বয়স এখন প্রায় তিন বছর। এ গরুর খাবারের জন্য প্রতি মাসে ২ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছে।’
দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো দাম নির্ধারণ করিনি। তাছাড়া, অনেক বেশি দাম দিয়ে গরু কেনার মতো ক্রেতা এখনও হাটে আসেননি। তাই, অপেক্ষায় আছি।’
এদিকে, ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, হাটে এখনও বেশি গরু না আসায় বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন।
গাবতলীতে গরু কিনতে আসা মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা হাসানুল রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘হাট এখনও পুরোপুরি জমেনি। করোনার মধ্যেও এসেছি, কারণ কোরবানি তো দিতেই হবে। তাই, হাট পুরোপুরি জমে ওঠার আগেই যদি সম্ভব হয়, তাহলে গরু কিনে ফেলব। কারণ, শেষদিকে মানুষ অনেক বেশি হবে। তখন করোনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। এখানে এসে দেখি বিক্রেতারা অনেক বেশি দাম চাইছেন। এখনও হাটে বেশি গরু আসেনি।’
গাবতলী পশুর হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘গাবতলীতে বছরের প্রায় পুরোটা সময়ই গরু পাওয়া যায়। তবে, ঈদকে ঘিরে চলে ভিন্ন রকম আয়োজন। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, ক্রেতা ততই বাড়বে।’
গাবতলী পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। হাটের বাইরে ওয়াচ টাওয়ার বসানোর কাজ করতে দেখা গেছে।