চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। ক্রেতাদের দাবি, বাজার তদারকিতে গাফিলতি থাকায় হঠাৎ হঠাৎ বাড়ছে দাম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২টাকা, মাঝারি চাল ৬৩-৬৫টাকা, মোটা চাল ৫৫-৫৭ টাকা এবং ১১০-১১৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আতব চাল।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জেলায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আমনের উৎপাদন ব্যাহত হয়।
ক্রেতাদের অভিযোগ, আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা বাড়াচ্ছে চালের দাম। চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
রইস উদ্দীন রিকশা চালান। দিনে যা আয় করেন, তা দিয়ে চলে তার সংসার। তবে সব জিনিসের দাম বাড়িতের মধ্যে চালের দামও চড়ে যাওয়ায় এখন রিকশার চাকা ঘুরিয়ে আর সংসারের চাকা ঠিকমতো ঘোরাতে পারছেন না রইস। হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসার চালাতে।
রাইজিংবিডি ডটকমের সঙ্গে কথা হলে রইস বলেন, আগে সারা দিন ভাড়া মেরে যে টাকা পেতাম, অন্যান্য খাদ্য কিনে দুমুঠো খাওয়ার চাল কিনতে পারতাম। এখন কেজিতে দুই থেকে আড়াই টাকা বেড়ে গেছে। চাল কিনলে আর তেলের টাকা মেলানো যায় না।
রইস উদ্দিন বলছিলেন, বাজার তদাকরি হয় বলে তিনি দেখেন না। তার দাবি, বাজার ঠিকমতো তদারকি হলেও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মুস্তাফিজুর রহমান নামে এক দোকানি বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে চালের দাম বাড়তি। আমরাও বাড়তি দামে পাইকারি চাল কিনে বাজারে বিক্রি করছি।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাবের (কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাধারণ সম্পাদক বলেন, “জেলা কমিটির মিটিং ছিল সেখানে সরকারি কর্মকর্তারা চালের দাম স্থিতিশীল বলেছেন। তবে আমরা বাজারঘুরে দেখেছি চালের দাম বাড়তি।”
সোনা মসজিদ বন্দর দিয়ে আদমানি বন্ধ ৫ মাস জেলার সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৫ মাসের বেশি সময় ধরে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। চালের শুল্ক বেশি হওয়ায় লোকসান এড়াতে এই খাদ্যপণ্য ভারত থেকে আনতে নারাজ ছিলেন আমদানিকারকরা।
চাল আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ। ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কায় চাল আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন।
জানতে চাইলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়শনের আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রায় সাড়ে ৫ মাস ধরে নানা কারণে এই স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমাদানি বন্ধ।