বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওয়ালটনের নতুন মডেলের অটোমেটিক ডুপ্লেক্স প্রিন্টার উদ্বোধন

নতুন মডেলের ৪০ পিপিএম অটোমেটিক ডুপ্লেক্স প্রিন্টার উন্মোচন করেছে দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওয়ালটনের এই প্রিন্টারে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোন বা ট্যাব ব্যবহার করেও সহজেই প্রিন্ট করা যাবে।

‘প্রিন্টন’ ব্র্যান্ডে বাজারে আসা ওয়ালটনের এই প্রিন্টারটির মডেল প্রিন্টন ওপি৪০১ডিডব্লিউ। দ্রুতগতির প্রিন্টিং সুবিধাযুক্ত ওয়ালটনের নতুন প্রিন্টারটির দাম ২৭ হাজার ৫০০ টাকা।

সম্প্রতি ওয়ালটন আয়োজিত ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সল্যুশন বা এটিএস এক্সপো-২০১৪’ শীর্ষক শিল্পমেলায় নতুন মডেলের এই প্রিন্টার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়ালটনের এই প্রিন্টারে ১.২ গিগাহার্জ প্রসেসর এবং ৫১২ মেগাবাইট মেমোরি রয়েছে। এর প্রিন্টিং স্পিড ৪০ (এ ফোর) এবং ৪২ (লেটার) পিপিএম। এই প্রিন্টারে কমান্ড দেয়ার ৬.৯ সেকেন্ডেরও কম সময়ে প্রথম পেইজ প্রিন্ট হবে। এর মান্থলি ডিউটি সাইকেল ১ লাখ পেইজ।

নতুন মডেলের প্রিন্টন প্রিন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “ওয়ালটন দেশে ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। তারা বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করছে। যথাযথভাবে ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। এছাড়া পরিবেশ সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর ওয়ালটন। ব্যবসায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছে ওয়ালটন। যখন কোনো উন্নত দেশ ভ্রমণে যেতাম; তখন সেসব দেশের হাই-টেক পণ্য ও প্রোডাকশন প্রক্রিয়া দেখে আফসোস হতো। ভাবতাম এসব পণ্য আমাদের দেশে কবে তৈরি হবে! আমাদের দেশ কবে সেই সক্ষমতা পাবে? সম্প্রতি ওয়ালটনের প্রোডাকশন প্ল্যান্ট পরিদর্শনের পর আমি অভিভূত হয়েছি। ওয়ালটন পূর্বের সব ধারণা পাল্টে দিয়েছে। ওয়ালটনকে দেখে আশ্বস্ত হয়েছি এই ভেবে যে আমার দেশও অনেক দূর এগিয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “ওয়ালটন এখন নিজস্ব প্ল্যান্টে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, মনিটর, প্রিন্টার, ট্যাব, স্পিকার ও সিসিটিভিসহ সব ধরনের পণ্যই তৈরি করছে। ওয়ালটন এখন আমাদের ইমোশনে পরিণত হয়েছে। আমরা সাধারণত ভালো পণ্য সার্ভিসের জন্য বিদেশি পণ্যের দিকে ঝুঁকি। কিন্তু ওয়ালটন সেই ধারণায় পরিবর্তন করে দিয়েছে। সেরা সার্ভিস ও পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে ক্রেতাদের বিদেশ নির্ভরতা থেকে ফিরিয়েছে। তারা সাশ্রয়ী দামে পণ্য বাজারজাত করছে; যাতে সাধারণ মানুষও এখন স্মার্টফোনসহ সব ধরনের প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করতে পারছেন। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ওয়ালটনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এজন্য ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।”

এস এম রেজাউল আলম বলেন, “ওয়ালটন ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক্স জগতের সব ধরনের পণ্যই শতভাগ কোয়ালিটি নিশ্চিত করে তৈরি করছে। এভাবেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী, বাজারজাতকারী এবং রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে ওয়ালটন। এসব সম্ভব হয়েছে সরকারের দেশীয় শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন নীতি সহায়তার ফলে। দিন দিন ওয়ালটনের ডিজি টেক ও হাই টেক পণ্যের পরিসর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় বিনিয়োগকারীদের ও শিল্প রক্ষায় রপ্তানিসহ আরো কিছু বিষয়ে এখনো সরকারের নীতি সহায়তা দরকার। তাহলে দেশের অর্থনীতি আরো দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাবে।” 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন এবং ওয়ালটন কম্পিউটার প্রোডাক্টের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তৌহিদুর রহমান রাদসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।