ওয়েস্ট ব্রুমউইচ অ্যালবিওনের বিপক্ষে টটেনহ্যাম হটস্পারের একাদশে হ্যারি কেইনের নামটা ছিল অপ্রত্যাশিত। লিভারপুলের বিপক্ষে পাওয়া গোড়ালির চোট নিয়ে আগের দুটি ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া ইংলিশ ফরোয়ার্ডকে যে এত তাড়াতাড়ি মাঠে দেখা যাবে, তা ভাবনার বাইরে ছিল। শতভাগ ফিটনেসের প্রমাণ দিয়ে পুরো ম্যাচ খেললেন এবং রেকর্ড গড়া গোল করে টানা তিন ম্যাচ হারের পর দলকে ফেরালেন জয়ে।
লিভারপুল, ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওন ও চেলসির কাছে টানা তিন হারের পর প্রিমিয়ার লিগে দশম জয়ের স্বাদ পেলো টটেনহ্যাম। আজ রোববার ২-০ গোলে ব্রুমউইচকে হারিয়ে টেবিলের নবম স্থান থেকে এক লাফে চেলসি ও অ্যাস্টন ভিলাকে টপকে সাত নম্বরে হোসে মরিনহোর শিষ্যরা। ২২ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট তাদের। শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির (৪৭) চেয়ে ১১ পয়েন্ট পেছনে এবং চতুর্থ দল লিভারপুল (৪০) তাদের চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে।
হতাশাজনক প্রথমার্ধ শেষে বিরতির পর নবম মিনিটে পিয়েরে এমিলি হজবার্গের ক্রস থেকে গোল করেন কেইন। এই গোলে টটেনহ্যামের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার আসনে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে ২৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
২০১১ সালে স্পারদের সঙ্গে চুক্তি করার পর সব প্রতিযোগিতা মিলে ৩১৭ ম্যাচ খেলে এখন ২০৮ গোলের মালিক কেইন। ক্লাবের ইতিহাসে এখন তিনি ববি স্মিথের পাশে, তারও একই রেকর্ড। স্পারদের সর্বাধিক গোলদাতা জিমি গ্রিভসের চেয়ে ৫৮ গোল পেছনে কেইন। ১৯৬১ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যণ্ত টটেনহ্যামের জার্সিতে ৩৭৯ ম্যাচ খেলে ২৬৬ গোল করেন গ্রিভস।
টটেনহ্যামের জয়ে ফেরার রাতে কেইনের উদযাপনের চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সন হিউং-মিন। এই মৌসুমে দুজনের নামের পাশেই লিগ গোল ১৩টি। যৌথভাবে শীর্ষে তারা। লিগের এই আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ (১৫)। মিশরীয় ফরোয়ার্ডের পরেই অবস্থান কেইন-সনের।