কাজটা ছিল প্রায় অসম্ভব। তারপরও দলটিতে যখন লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড় আছেন, তাই অনেকেই স্বপ্ন দেখেছিলেন মিরাকল কিছুর। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী তো আর সর্বদা প্রপ্তি হয় না। হয়নি বার্সেলোনার ক্ষেত্রেও।
বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ফঁরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ত জার্মেইর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে বিদায় নিয়ে কাতালানরা। দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজি ৫-২ ব্যবধানে মেসি-গ্রিজমানদের হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হলো রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যদের।
প্রথম লেগে বার্সেলোনার মাঠে ৪-১ ব্যবধানে জিতে এসেছিল পিএসজি। তাতে ঘরের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল তারা। তবে নেইমারবিহীন পিএসজিরে মধ্যে জয়ের কোনো ক্ষুধা টের পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে শুরু থেকেই অসম্ভবকে সম্ভব করার তাড়ণা নিয়ে খেলছিল কাতালানরা।
কিন্তু ৩০ মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়ে তারা। এ সময় পেনাল্টি পায় পিএসজি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন প্রথম লেগের হ্যাটট্রিকম্যান কালিয়ান এমবাপে। তবে বেশিক্ষণ তাদের এগিয়ে থাকতে দেননি লিওনেল মেসি। ৩৭ মিনিটে দূর পাল্লার শটে দারুণ এক গোল করে সমতা ফেরান তিনি। এটা ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে আর্জেন্টাইন তারকার ১২০তম গোল।
এরপর অবশ্য পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সা। সুযোগ পেয়েছিল এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু লিওনেল মেসির নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন পিএসজির গোলরক্ষক জেসাস নাভাস। এছাড়া ওসমানে দেম্বেলেসহ অন্যান্যরা ছিলেন সুযোগ মিসের মহড়ায়। তাতে মিরাকল কিছু উপহার দিতে পারেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। আর যাওয়ার হয়নি কোয়ার্টার ফাইনালেও।