খেলাধুলা

হাবিবুলের ক্রিকেট পাঠশালা (চতুর্থ পর্ব)

রানিং বিটুইন দ্য উইকেট ও ডিফেন্স

রানিং বিটুইন দ্য উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটাতে ভুল হলে, আপনি খুব ভালো খেলতে থাকলেও রান আউটের ফাঁদে পড়ে ফিরতে হতে পারে। তাই রানিং টেকনিক খুব দরকার। টেকনিকের মাধ্যমে কিন্তু ২২ গজকে ১৮ গজে নামিয়ে আনা যায়। টেকনিক ব্যবহার না করলে ২২ গজই দৌড়ানো লাগে। আর ২২ গজ ১৮ গজে রূপ নিলে রান আউট হওয়ার সম্ভাবনাও কিন্তু কমে যায়। নিয়মিত সিঙ্গেল, ডাবলসও নেওয়া যায়। আর এটা নিতে পারলে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ভালো করা যায়।

যদি কোনো ব্যাটসম্যান কেবল বাউন্ডারির উপর নির্ভর করে, তাহলে তার উপর অনেক চাপ পড়ে কিন্তু। তবে যারা সিঙ্গেল বের করতে পারে তাদের উপর চাপ পড়ে না। এই যেমন সাকিব আল হাসান, সে কিন্তু বাউন্ডারির আশা না করে বরং সহজেই সিঙ্গেল বের করে নিতে পারে। ফলে তার উপর চাপ কম পড়ে। খারাপ বলে তো বাউন্ডারি আসেই। এমনিতে নিয়মিত রান তার উঠতেই থাকে। তখন ব্যাটিং সহজ হয়ে যায়, আর ধারাবাহিকও হওয়া সম্ভব হয়।

ডিফেন্স, এখানে একটা মত-দ্বিমত থাকতে পারে। অনেকে মনে করে অ্যাটাকিং ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। কিন্তু অনেকে মনে করেন ডিফেন্স করতে পারাটা খুব জরুরি। কারণ, অ্যাটাক তো চাইলে করা যায়। আমার কাছে মনে হয়, অ্যাটাক এবং ডিফেন্স করা দুটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র একটাতে ভালো হলেই হবে বলে আমি মনে করি না। কারণ, ক্রিকেট রানের খেলা। রান করেই একজন ব্যাটসম্যান মাঠে সেট হয়। আর তাই শুধু ডিফেন্স নয় অ্যাটাক করা মানে রান করতে জানতে হবে। রান না করলে কিন্তু দলেরও সাহায্য হবে না।

আবার রান করতে হলে কিন্তু আপনাকে উইকেটে থাকতে হবে। আপনি অ্যাটাক করতে গিয়ে নিজের উইকেট হারালে কিন্তু রান করতে পারবেন না। আর তাই দুটোর সামঞ্জস্য থাকা জরুরী। এগুলো একদম প্রাইমারি বেসিকস। নতুন কোনো ব্যাটসম্যানকে শুরুতে এসবে পারদর্শী করে নিতে হয়। কোচরা কিন্তু শুরুতে ডিফেন্স করা শেখান, এরপরে অ্যাটাক করতে শেখান। কারণ, উইকেটে থাকলেই আপনি কেবল রান করতে পারবেন। আর স্ট্রোক প্লের ক্ষেত্রে সবার ন্যাচারাল কিছু শট থাকেই। তাই আগে ডিফেন্সে শক্ত হতে পারলে, পরে অ্যাটাকিং শট রপ্ত করে নেওয়া সম্ভব হবে।

(চলবে)

অনুলিখন: ইয়াসিন হাসান