শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দুটি টেস্ট খেলবে। সপ্তাহখানেক আগে বাংলাদেশ দল নিউ জিলান্ডে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত হয়ে এসেছে। তার আগে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খর্ব শক্তির টেস্ট দলের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ২-০ তে।
এই শ্রীলঙ্কা সফরে দেশের তথা বিশ্ব ক্রিকেট সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান খেলবেন না। ভারতে শুরু হতে যাওয়া আইপিএল খেলার জন্য তাকে এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে বিসিবি ছুটি দিয়েছে। বোর্ড সবে সফরের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। জানি, সীমিত বিকল্প আছে দল নির্বাচনে। তবে সাকিবের অবর্তমানে বা সাকিবের উপস্থিতিতেও যার থাকা তর্কাতীত, সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অনুপস্থিতি নানা প্রশ্নের উদ্রেক করতেই পারে। জানি না তিনি ম্যাচের জন্য ফিট কি না।
ব্যর্থ নিউ জিল্যান্ড সফরে ব্যাট হাতে যা কিছু অর্জন, তার বড় অংশ জুড়েই ছিল মাহমুদউল্লাহর ছোঁয়া। আমি জানি পুরো ফর্মে থাকা শুভাগত হোম একসময় অবশ্যই বিবেচিত হতে পারতো। কিন্তু এই মুহূর্তে একমাত্র ফিটনেস না থেকে থাকলে কোনোভাবেই শুভাগত মাহমুদউল্লাহর থেকে আগে বিবেচিত হতে পারেন না।
দলে আমি একজন লেগস্পিনার দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশ কিন্তু লেগস্পিন খেলছে অনেকটা শিক্ষানবিশ ভঙ্গিতে। আফগানিস্তানের রশিদ খানের কথা না হয় বাদই দিলাম। ইশ সোধি ও টড অ্যাস্টলের বলেও আনাড়ির মতো খেলেছে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলে কিন্তু হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ছাড়াও মানসম্পন্ন লেগস্পিনার আছেন, দলে যেহেতু মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান আছে তাহলে কেন শুভাগতর অফস্পিন প্রয়োজন মনে হলো?
বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ বা টপ অর্ডারে ইমরুল কায়েসের প্রয়োজন ছিল। বরাবরের মতো শ্রীলঙ্কায় এবার কিন্তু বন্ধু-বন্ধু ক্রিকেট হবে না। অরবিন্দ ডি সিলভা এখন দায়িত্বে, টম মুডি করছেন পরিকল্পনা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালী দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কা কিন্তু কোমর বেঁধে লড়েছে। দলের মূল ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, লিটন দাশ, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম কিন্তু নিউ জিল্যান্ড সফরে নড়বড়ে ছিলেন, অবশ্য নুরুল হাসান সোহানের দলভুক্ত সঠিক হয়েছে।
লেখক: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, ক্রিকেট লেখক।