খেলাধুলা

নতুন চেহারার শ্রীলঙ্কার সামনে তামিমদের দারুণ সুযোগ

নতুন চেহারার শ্রীলঙ্কার সামনে মুখোমুখি পূর্ণ শক্তির বাংলাদেশ। ওয়ানডে সুপার লিগের এই যুগে প্রতিটি ম্যাচই সমান গুরুত্ববহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ জিতে এই লিগে যাত্রা শুরু; মাঝে তিন ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হারা। তামিম ইকবালদের সামনে আবার সুযোগ ঘরের মাঠে; নিজেদের ডেরায়।

রোববার (২৩ মে) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে দিবারাত্রির এই ম্যাচটি। সাকিব-তামিমদের নিয়ে অভিজ্ঞতায় গড়া পূর্ণ শক্তির বাংলাদেশের সামনে সুযোগ তারুণ্যের মিশেলে গড়া লঙ্কানদের হারিয়ে সিরিজে দারুণ সূচনা করা।

বাংলাদেশ দলে সাকিব ফেরায় যোগ হয়েছে বাড়তি মাত্রা। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে সর্বশেষ তিন সিরিজে ছিলেন না সাকিব। তার থাকা মানে বোলিং-ব্যাটিংয়ে অধিনায়কের জন্য দারুণ স্বস্তির। নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর সাকিব তার প্রিয় ব্যাটিং পজিশনে খেলার সুযোগ পাননি। দলের কারণে খেলতে হয়েছে এক ধাপ নিচে।

এবার সেই প্রিয় জায়গাতেই নামছেন সাকিব। যে জায়গায় খেলে বিশ্বকাপে করেছেন অতিমানবীয় পারফরম্যান্স। সাকিবকে নিয়ে অধিনায়ক হতে শুরু কোচ সবারই দারুণ প্রত্যাশা। শেষ কদিন অনুশীলনে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে দেখা গেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে। বিসিবির কোচ ও বিকেএসপির উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিমও বলেছেন একই কথা। তার মতে সাকিবের ফেরা দলের অভিজ্ঞতা বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের জয়  ১টিতে। বিশ্বকাপে ১টি ম্যাচ বাতিল হয়েছে বৃষ্টির কারণে। বিশ্বকাপের পরপরই তাদের মাটিতে হতে হয়েছে ধবলধোলাই। এবার তামিমদের সামনে সুযোগ প্রতিশোধের।  

অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকলেও তামিম জানান জয়ের জন্য মাঠে ভালো খেলতে হবে। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে অবশ্যই অভিজ্ঞতার ভূমিকা রাখে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কেমন খেলছেন, পরিকল্পনার পূর্ণতা কেমন দিতে পারছেন। শ্রীলঙ্কা যে দলটা এসেছে কমবেশি ওদের সঙ্গে আমরা আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়ায় খেলেছি। তারা খুবই ভাল দল, ভাল ক্রিকেটার। এটা আমরা সবাই জানি। শ্রীলঙ্কা প্রতিপক্ষ হিসেবে জানি আমরা যদি তাদের বিপক্ষে জিততে হয় এবং সিরিজ জিততে হয় তবে খুবই ভাল খেলতে হবে।‘

অন্যদিকে লঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরা নিজেদের বোলারদের থেকে নিখুঁত কিছুর আশা করছেন না। ব্যাটিংয়ে গভীরতা থাকলেও বোলিং বিভাগে শ্রীলঙ্কার রয়েছে দুর্বলতা। দলের ৫ পেসারের মধ্যে এখনো ৩ জনের অভিষেক হয়নি। পেস আক্রমণে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুশমন্থ চামিরা খেলেছেন মাত্র ২৫ ম্যাচ। যাতে উইকেট নিয়েছেন ২১টি। আসিথা ফারনান্দো খেলেছেন মাত্র ২টি। এ ছাড়া চামিকা করুণারত্নে, বিনুরা ফারনান্দো ও শিরান ফারনান্দোর এখনো অভিষেক হয়নি।

অভিজ্ঞদের মধ্যে পেস অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন ইসুরু উদানা। তবে পেসারদের তুলনায় স্পিন বিভাগ বেশ শক্তিশালী। পরীক্ষায় ফেলেতে পারেন বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার লাকশান সান্দাক্যান, রামেশ মেন্ডিস ও আকিলা ধনাঞ্জয়ারা। এর মধ্যে রামেশের এখনো অভিষেক হয়নি। পেরেরা বলেন, ‘আমাদের ডেথ বোলিং নিয়ে পরিকল্পনা আছে কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে এই ভূমিকাটা কেবল অভিজ্ঞরাই ভালোভাবে সামলাতে পারে। আমরা শুরু থেকেই নিখুঁত কিছু আশা করতে পারিনা।‘