খেলাধুলা

মিরাজ-সাকিবরাই শ্রীলঙ্কার পথের কাঁটা

বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই হেরে গেছে শ্রীলঙ্কা।  ব্যাটিং-বোলিং কোনও বিভাগেই তেমন একটা লড়াই করতে পারেননি লঙ্কান ক্রিকেটাররা। বোলাররা সন্তোষজনক পারফরম্যান্স করলেও ব্যাটসম্যারা ছিলেন হতশ্রী। শ্রীলঙ্কার কোচ মিকি আর্থারের মতে, বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

শুক্রবার সিরিজের শেষ ম্যাচ, হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে বিশ্বকাপ সুপার লিগের প্রথম পয়েন্ট পেতে শেষ প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল থেকে শিষ্যদের অনুশীলন করানোর পর দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন আর্থার। নেট সেশনের ব্যাটসম্যানদের যেভাবে দেখছেন, সেই ব্যাটসম্যানরা মাঠে অন্য রকম খেলছেন বললেন কোচ।

আর্থার বলেন, 'স্পিনারদের (সাকিব-মিরাজ) সামলাতে আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। যা আমাকে বেশ আশ্চর্য করেছে। নেটে আমি যে ব্যাটসম্যানদের দেখি, মাঠে তারেই একেবারে অন্যরকম। অথচ নেটে তারা দারুণ সাবলীল। হতে পারে চাপ কিংবা ব্যর্থতার ভয় থাকতে পারে তাদের মনে, এসব মন থেকে দূরে সরাতে হবে। তারা বেশ দক্ষ ব্যাটসম্যান, বিশেষ করে স্পিনের বিরুদ্ধে। তারা এখন পর্যন্ত সেটা দেখাতে পারেনি, কিন্তু আমি আগামীকাল সত্যি খুব ভালো পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে আছি।'

একটি ছোট পরিসংখ্যানে চোখ ফেললেই বোঝা যায় লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ওপর সাকিব-মিরাজদের দাপট। দুই ম্যাচে ১৯ উইকেট পড়েছে শ্রীলঙ্কার, তার মধ্যে ১০টি নিয়েছেন বাংলাদেশের দু্ই জন স্পিনার। সর্বোচ্চ ৭টি নিয়েছেন মিরাজ আর ৩টি সাকিব। মিরাজ-সাকিবদের ঘূর্ণিতে অচেনা মনে হচ্ছিল কুশল পেরেরা-মেন্ডিসদের।

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা হারে ৩৩ রানে। বাংলাদেশের ২৫৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে ২২৪ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। একাই লড়াই করেছিলেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা (৭৪)। দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের ব্যাটিং আরও হতশ্রী। তারা ৪০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করে। সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকার ব্যাট থেকে।

সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাটিং নিয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন আর্থার। তিনি বলেন, 'ব্যাটিংটা আমাদের ঠিকঠাক হচ্ছে না। আমাদের স্বাধীনভাবে খেলতে হবে এবং নিজের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।'

আর্থারের কণ্ঠে ঝরেছে সাকিব-তামিম-মুশফিকদের প্রশংসাও। জানিয়েছেন তারা প্রত্যাশা মতোই পারফরম্যান্স করে তাদের ভুগিয়েছেন।

'সাকিব, তামিম ও মুশফিক ২০০ এর বেশি ম্যাচ খেলেছে। মাহমুদউল্লাহও ২০০ ম্যাচ খেলার দ্বারপ্রান্তে। মোস্তাফিজ ও মেহেদী (হাসান মিরাজ) নিজেদের কন্ডিশনে এখন দারুণ ইউনিট। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করছি। আর তারা সেটাই আমাদের দিয়েছে।'