গত বছর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় ছিলেন না হাসান আলী। এক বছর পর তিনি ফিরলেন। সর্বোচ্চ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন এই পেসার। ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উঠে গেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৩ লাখ ৭৫ হাজার পাকিস্তানি রুপির এই সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে থাকা অন্য দুইজন অধিনায়ক বাবর আজম ও পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি। শুক্রবার ২০২১-২২ মৌসুমের জন্য পুরুষ দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে।
সিনিয়র খেলোয়াড় মোহাম্মদ আব্বাস, আসাদ শফিক ও ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গে তরুণ ক্রিকেটার হায়দার আলী ও নাসিম শাহ নতুন চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন। গত বছরের তালিকা থেকে ছিটকে যাওয়া অন্যরা হলেন শান মাসুদ, উসমান শিনওয়ারি, ইফতিখার আহমেদ ও হারিস সোহেল।
১ জুলাই থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে। নতুন করে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ফাহিম আশরাফ (‘বি’ ক্যাটাগরি), মোহাম্মদ নওয়াজ, নওমান আলী (‘সি’ ক্যাটাগরি), উসমান কাদির, ইমরান বাট ও শাহনওয়াজ দাহানি (ইমার্জিং ক্যাটাগরি)।
‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছেনফাওয়াদ আলম। সিনিয়র টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আজহার আলী নেমে গেছেন ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ চুক্তি ধরে রাখলেও নেমে গেছেন ‘বি’ থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। সব মিলিয়ে নতুন চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন ২০ জন, গত বছরের চেয়ে একজন কম।
সব ক্যাটাগরিতে পিসিবি খেলোয়াড়দের মাসিক ফি ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরির সব সংস্করণের খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে। ‘বি’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা টেস্টে ১৫, ওয়ানডেতে ২০ ও টি-টোয়েন্টিতে ২৫ শতাংশ বেশি বেতন পাবেন। আর ‘সি‘ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা টেস্টে ৩৪, ওয়ানডেতে ৫০ ও টি-টোয়েন্টি ৬৭ শতাংশ বেশি বেতন পাবেন। তাতে করে ক্যাটাগরি অনুযায়ী সব খেলোয়াড়রা একই ম্যাচ ফি পাবেন।
‘এ’ ক্যাটাগরি (১৩ লাখ ৭৫ হাজার পাকিস্তানি রুপি): বাবর আজম, হাসান আলী, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।
‘বি’ ক্যাটাগরি (৯ লাখ সাড়ে ৩৭ হাজার পাকিস্তানি রুপি): আজহার আলী, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, ফাওয়াদ আলম, শাদাব খান ও ইয়াসির শাহ।
‘সি’ ক্যাটাগরি (৬ লাখ সাড়ে ৮৭ হাজার পাকিস্তানি রুপি): আবিদ আলী, ইমাম উল হক, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ, নওমান আলী ও সরফরাজ আহমেদ।
ইমার্জিং ক্যাটাগরি: ইমরান বাট, শাহনওয়াজ দাহানি ও উসমান কাদির।