মিরপুরের সেই চিরাচরিত স্লো উইকেট নাকি অস্ট্রেলিয়ার জন্য বাড়তি কিছুর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ? স্পিন বিষে অস্ট্রেলিয়াকে নীল করতে হলে মিরপুরের উইকেটই যথেষ্ট। তবে স্পোর্টিং উইকেটের কথা চিন্তা করলে দীর্ঘ মেয়াদে ফল পাবে বাংলাদেশ। কোন পথে হাঁটছে টিম ম্যানেজমেন্ট? উইকেট নিয়ে কেমন দিক নির্দেশনাই বা দিয়েছে?
স্বাগতিক দেশ হিসেবে যে কোনো দলই সুবিধা নিয়ে থাকে। বাংলাদেশও এরই বাইরে নয়। জানা গেছে, মাহমুদউল্লাহদের পক্ষ থেকে স্লো অ্যান্ড টার্নিং উইকেটই চাওয়া হয়েছে। মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এরপর নিউ জিল্যান্ড, ইংল্যান্ডকেও আতিথেয়তা দেবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ১৩ টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের প্রস্তুতির বড় সুযোগ। জয়ে সেসব প্রস্তুতি সেরে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চায় দল। এজন্য নিজেদের মূল শক্তি স্পিন আক্রমণ চালাতে চায় বাংলাদেশ। জাতীয় নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আমাদের শক্তির জায়গা স্পিন। দলে ভালো মানের স্পিনার রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে পরিকল্পনা করে আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত। স্বাগতিক দেশ হিসেবে এসব সুবিধা তো আমাদের নেওয়া উচিত।’
দলের সেরা স্পিনার সাকিব আল হাসান রয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ফেরি করে বেড়ানো এই অলরাউন্ডারের অভিজ্ঞতা দারুণভাবে কাজে লাগবে এমটাই বিশ্বাস। নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ দলের শক্তি বাড়াচ্ছেন নিশ্চিতভাবেই। দেশের উইকেটে তারা যথেষ্ট কার্যকরী। তবে অস্ট্রেলিয়া দলেও অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাডাম জাম্পার মতো স্পিনার রয়েছে। তাদের সামলানো কঠিন হবে, তা অজানা নয়।
লেগ স্পিন নিয়ে বাংলাদেশের জুজু তো অনেক দিনের। জাম্পা তো সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন। শুধুমাত্র তার জন্য যে আলাদা ছক করতে হবে, তা নিশ্চয়ই ভালোভাবে জানা আছে। এজন্য ঢাকা লিগের টি-টোয়েন্টির মতো উইকেট তৈরির মত দিলেন বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ।
ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ এ কোচ বলেন, ‘ঢাকা লিগের উইকেটগুলো কিন্তু স্পোর্টিং ছিল। ছেলেরা খেলে মজা পেয়েছে। বল কিন্তু স্পিনও করেছে। আবার পেসাররাও ভালো করেছে। এরকম উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হওয়া উচিত। কারণ সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানকার উইকেট কিন্তু আইসিসির কিউরেটর বানাবে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে সাফল্যর জন্য স্পোর্টিং উইকেটে খেলা ভালো। আমার বিশ্বাস স্পোর্টিং উইকেটে খেললেও বাংলাদেশ ম্যাচ জিতবে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখতেই হবে।’
টানা জয় দলের মনোবাল বাড়াবে বলেই বিশ্বাস করেন মিনহাজুল আবেদীন, ‘আমরা যদি জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকি তাহলে অবশ্যই ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার পর নিউ জিল্যান্ড আসবে। এরপর ইংল্যান্ড। ম্যাচগুলো থেকে সর্বোচ্চ ফল নিতে পারলে আমাদের বিশ্বকাপে ভালো করার সুযোগ বেড়ে যাবে। তখন ওরাও বুঝতে পারবে কীভাবে জিততে পারি, কোন পরিস্থিতি থেকে জেতা সম্ভব। পুরোটাই অভ্যাসের বিষয় হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ এর আগে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে। চারটিই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এই ফরম্যাটে এবার প্রথম দুই দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে মাঠে নামছে। নিশ্চিতভাবেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশের কাছে বিশেষ কিছু।