নানা শর্ত দিয়েই বাংলাদেশে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সেই ‘চ্যালেঞ্জিং প্রটোকল’ সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সব শর্ত মেনে নিয়ে চাহিদামাফিক বায়ো-বাবল তৈরি করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
এক ভেন্যুতে পাঁচটি টি-টোয়েন্টির সবগুলো আয়োজন করা, ইমিগ্রেশনের ঝামেলায় না গিয়ে সরাসরি হোটেলে চলে যাওয়া, পুরো হোটেল বুকিং দেওয়া, সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখাসহ বেশ কিছু কঠিন শর্ত দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এমনকি ছক্কার পর বল গ্যালারিতে গেলে বল পরিবর্তন করার নিয়মও ছিল। সব শর্তই মেনে নেয় বিসিবি। তা অস্ট্রেলিয়ার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল, জানালেন দেশের বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
কঠিন এই বায়ো-বাবল তৈরি করা চ্যালেঞ্জিং ছিল বললেন বিসিবির এই কর্মকর্তা, ‘অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে আসার আগে থেকেই আমাদের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ও মেডিক্যাল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিল। বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে তাদের খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে চাহিদাগুলো ছিল, বেশ কিছু বিষয় তারা আমাদের আগেই জানিয়েছিল যে নিশ্চিত করতে হবে। সেগুলো নিশ্চিত করা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। বায়ো-বাবল প্রটোকল অনুসারে সেগুলোকে নিশ্চিত করা, এ ধরণের কমপ্লায়েন্সগুলো যেন ঠিকঠাকভাবে প্রয়োগ করতে পারি, কোনো ধরনের খুঁত না থাকে, সেটা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়াও সন্তোষ প্রকাশ করেছে বললেন নিজামউদ্দিন, ‘অবশ্যই, ওরা যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমার মনে হয় তারা যা পেয়েছে, তা প্রত্যাশার বেশি ছিল। এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা বায়ো-বাবল পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারব, তাদের চাহিদা অনুসারে আমরা প্রত্যেকটি বিষয় পূরণ করতে পারব, তারা এতটা আশা করেনি।’
বাংলাদেশ সিরিজটি ৪-১ এ জিতেছে। এবার নিউ জিল্যান্ডকেও পাঁচটি টি-টোয়েন্টিতে স্বাগত জানাবে তারা।