অস্ট্রেলিয়াকে রীতিমতো মুক্তি দিলো নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার ৬২ রান ছিল দলীয় সর্বনিম্ন। আজ নিউ জিল্যান্ড ৬০ রানে অলআউট হয়ে ‘বাঁচিয়েছে’ তাসমান পাড়ের প্রতিবেশীদের। অস্ট্রেলিয়াকে যে ফাঁদ পেতে বাংলাদেশ ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল, নিউ জিল্যান্ডের জন্যও একই ছক করেছে। ফলাফল হাতের মুঠোয়। প্রথম ম্যাচেই জয় ৭ উইকেটে।
যে জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান। বল হাতে ২ উইকেট ও ব্যাট হাতে ২৫ রান করে সাকিবের পকেটে আরেকটি ম্যাচসেরার পুরস্কার। তবে পুরস্কার নিতে এসে উইকেট যে নিয়ে মন্তব্য করলেন তা প্রত্যাশিত ছিল না মোটেও। সাকিব বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজের থেকেও কঠিন উইকেট ছিল। নিউজিল্যান্ড অনেক অনভিজ্ঞ দল এই কন্ডিশনে। স্বাভাবিকভাবেই সংগ্রাম করেছে। তার সঙ্গে আমরাও ভালো জায়গায় বল করেছি।’
তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব ৩৩ বলে ২৫ রান করেছেন। ২টি বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। ৬১ রানের লক্ষ্য পেলেও ব্যাটিং সহজ ছিল না বোঝা গেল সাকিবের কন্ঠে, ‘এখানে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যত বেশি সিঙ্গেল নেওয়া বা রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেট। এই দুটো জিনিস আমার মনে হয়। কারণ বাউন্ডারি মারাটা খুবই কঠিন। সব সময় ইতিবাচক মনোভাব রাখলে সিঙ্গেল বা ডাবলস নেওয়া সহজ হয়। তখন ব্যাটসম্যানের চাপ সরে যায়। সেট হয়ে গেলে একটা-দুইটা বাজে বল পেলে রান করা যায়। কাজেই অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ব্যাটসম্যানরা যাচ্ছে।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সপ্তম ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে আর ৪ উইকেট পেলে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও গড়বেন তিনি। এছাড়া প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে ৬০০ উইকেট ও ১২ হাজার রানের মালিক হবেন। নিজের অর্জন নিয়ে সাকিব বলেন, ‘যখন কোন অর্জন হয় ভালো লাগে। কিন্তু এগুলো আমি মাথায় রাখতে চাই না। তবে সবাই যখন বলে, এরকম একটা টার্গেটের সামনে আছি। এরকম একটা মাইলফলক আছে, তখন ভালো লাগে।’