দুবাই স্পোর্টস সিটির ভেতরে প্রবেশের পর যখন দ্রুতগতিতে গাড়ি ছুটছে, তখনই বোঝা গেলো কোনো আমেজ নেই। অথচ একটু পরেই এই সিটির অন্দরে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। পথে নেই যানজট, নেই দর্শকদের হাঁকডাক কিংবা মিছিল। অথচ সেমিফাইনাল ম্যাচে ছিল ঠিক উল্টো চিত্র। দুই কিলোমিটার ধরে যানজট, স্টেডিয়ামের চারদিকে দর্শকদের হুড়োহুড়ি আর জটলা। ফাইনালে এসবের ছিটেফোঁটাও নেই!
সময় গড়ানোর সঙ্গে কিছু দর্শক দেখা গিয়েছে। তবে দুবাই স্টেডিয়ামের ২৫ হাজার আসনের বিপরীতে যা নগন্য। পুরো স্টেডিয়ামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন দর্শকরা। আসলে নন এশিয়ার দুই দল অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড হওয়াতে মূলত এমন অবস্থা। তবুও যেসব দর্শকরা মাঠে এসেছেন তাদের মধ্যে ভারত-পাকিস্তানের দর্শকই বেশি। অনেকে জার্সি-পতাকা নিয়েও এসেছেন।
নিজেদের দল ফাইনাল খেললেও অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের দর্শকদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায়নি। এ ছাড়া করোনাকালিন ভ্রমণে দেশ দুটির কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপ থেকে। যে সব অস্ট্রেলিয়ান কিংবা নিউ জিল্যান্ডের মানুষ দুবাইয়ে থাকেন, তাদেরই মূলত বেশি দেখা যাচ্ছে। আর সেই সংখ্যাটাও খুবই নগণ্য।
কিন্তু আজকের এই ফাইনালে যদি ভারত-পাকিস্তান কিংবা এশিয়ার কোনো দেশ উঠতো তাহলে দুবাই স্টেডিয়ামের গ্যালারির অবস্থা হতো ভিন্ন। যার সর্বশেষ উদাহরণ ছিল পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ। এ ছাড়া আবুধাবি কিংবা শারজাহ, এশিয়ার দলগুলো যেখানেই খেলেছে দর্শকদের ভিড় ছিল উপচে পড়া। বাংলাদেশের ম্যাচেও ছিল একই অবস্থা।
ট্রফি জয়ের লড়াইয়ে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এখন পর্যন্ত এই দুই দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি জেতেনি। তাসমান পাড়ের দুই দলের সামনেই আজ সুযোগ, ট্রফিটি নিজেদের করে নেওয়ার।