পাঁচটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতলেও এর আগে টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপ জেতা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। অবশেষে সপ্তম আসরে এসে প্রার্থিত সেই বিশ্বকাপের ট্রফি ছুঁতে পারলেন অজিরা। রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছেন স্মিথ-হ্যাজেলউড, স্টার্করা।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ভাসছেন তারা। ম্যাচ শেষে সকলের কণ্ঠেই ছিল উচ্ছ্বাস। করছেন একে-অন্যের প্রশংসা।
যেমনটা বলেছেন স্টিভেন স্মিথ, ‘এটার মানে অনেক কিছু। এটার জন্য আমরা লম্বা সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি। সবার সঙ্গে ট্রফি নিয়ে বাড়ি ফেরাটা আমাদের জন্য বিরাট সম্মানের। ডেভিড ওয়ার্নার গেল দুই সপ্তাহ ধরে দুর্দান্ত খেলেছে। অনেক মানুষ তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। সে ব্যতিক্রম উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল এবং শুরুতেই ম্যাচ বের করে নিয়ে এসেছিল।’
পেসার মিচেল স্টার্ক বলেছেন, ‘আমাদের এ দলটি হয়তো আদর্শ দল ছিল না। কিন্তু দলের আমরা সবাই খুবই ঘনিষ্ট ছিলাম। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলার চেষ্টা করেছিলাম। বিভিন্ন ম্যাচে বিভিন্নজন পারফরম্যান্স করেছেন। আমরা একসঙ্গে লড়াই করে এতোদূর এসেছি। জাম্পা কিন্তু গেল দুই বছর ধরে সাদা বলের সেরা বোলার। সে জানে কিভাবে কাকে বল করতে হয়। আমরা বোলাররা নিজেদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি।’
জস হাজলেউড বলেছেন, ‘আসলে ফাইনালে সব সময়ই চাপ ছিল। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা সেটা কমিয়ে দিয়েছেন। পাওয়ার প্লে-তে ৪০ এর বেশি রান করেছেন। আমি সব সময়ই শেষের দিকে সুযোগ পাই। আমাদের ব্যাটসম্যানরা দারুণভাবে রান তাড়া করেছেন।’
প্যাট কামিন্স বলেছেন, ‘খুবই উচ্ছ্বসিত। আমরা যখন দেশে ফিরবো তখন আরও উচ্ছ্বসিত থাকবো। দেশের মাটিতে এখনো অনেক সমর্থক জেগে আছেন। যদিও রাত ১টা বাজে। দেশে তারা আমাদের ফেরার অপেক্ষায় আছেন। আসলে এখানে আইপিএলে খেলেছি। সেটা কাজে দিয়েছে। সেটার কারণেই দ্রুত উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছি।’
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মাথু ওয়েড বলেছেন, ‘খুবই বড় অর্জন। আমরা প্রথম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই শিরোপা জিতলাম। সত্যিই এটা আমাদের জন্য বিশেষ কিছু।’