সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯তম ওভারে টানা তিন ছক্কায় ম্যাচ জিতিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তুলেছিলেন ম্যাথু ওয়েড। ১৭ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকা ওই ম্যাচের নায়ক ফাইনাল খেলেছেন দ্বিতীয় গ্রেডের সাইড স্ট্রেইন নিয়ে।
ফাইনালের আগের দিন অনুশীলনের শেষ নেট সেশনে ব্যাট করার সময় চোটে পড়েন ওয়েড। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে এতটাই তীব্র বাসনা ছিল যে, বুঝতেই পারেননি চোট লেগেছে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তাকে ব্যাটিং করার সময় অস্বস্তিবোধ করতে দেখেন। তখনই বুঝতে পারেন যে চোট পেয়েছেন।
এমনকি স্ক্যানও করাতে চাননি ওয়েড। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও ফিজিওরা জোর করে তাকে হাসপাতালে পাঠান। স্ক্যান করা হলেও রিপোর্ট যেন তাকে না জানানো হয়, সেই ব্যাপারে কঠোর অনুরোধ করেছিলেন সবাইকে।
ওয়েড বলেছেন, ‘ম্যাচের আগের দিন দিনের শেষ সেশনে আমি অনুশীলন করছিলাম। তখনই চোটে পড়লাম। আমি একদমই স্ক্যান করাতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু তারা আমাকে পাঠাল এবং ফিজিও ও ডাক্তারদের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমার কাছে তথ্য লুকিয়েছে এবং বলেছে কাল পর্যন্ত সব ঠিক আছে কি না দেখো, তারপর না হয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আগের রাতের মতোই অনুভূতি ছিল। তাই ম্যাচের আগে আমি কিছুক্ষণ ব্যাট করলাম। তারাও আমাকে বেশি বেশি বল খেলতে বলল যেন আমি সুস্থবোধ করি।’
ওয়েডের ফিটনেস নিয়ে শঙ্কিত থাকলেও তাকে ফাইনালে খেলতে দেখে আশ্চর্য হননি ফিঞ্চ, ‘একটু তো ভয় ছিলই। আমি জানতাম দ্বিতীয় গ্রেডের ইনজুরি। আমি ভাবছিলাম, এই ইনজুরিতে তার খেলা কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু কেউ যদি এই অবস্থায় খেলতে যায়, সেটা সে-ই। তাকে যদি মাঠে নামতে না দিতে চান, তাহলে পা কেটে ফেলতে হবে। পরে দেখলাম সে চমৎকার করছে। উইকেটের পেছনে কয়েকবার ডাইভ দেওয়ার ও থ্রোয়িংয়ের সময় অস্বস্তিবোধ করছিল, কিন্তু সে কখনো তা আমলে নিচ্ছিল না।’