খেলাধুলা

সাকিবের ছুটি: কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিসিবি?

নিউ জিল্যান্ড সফরে না যেতে সাকিব আল হাসান চিঠি দিয়েছেন বিসিবিতে। চিঠিতে লিখেছেন, জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে নিউ জিল্যান্ডে দুই টেস্ট ম্যাচ খেলতে চাচ্ছেন না। তার ছুটি প্রয়োজন।

সাকিবের ছুটি নিয়ে বিসিবির দায়িত্বশীল কেউই গণমাধ্যমে কথা বলছেন না। রোববার ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা পণ্ড হওয়ায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও মিরপুরে আসেননি। এজন্য কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি।

তবে ভেতরের খবর, সাকিবের ছুটি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় বিসিবি। তাকে ছুটি দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে ভেতরে ভেতরে চলছে আলোচনা। কেউ কেউ ছুটি দেওয়ার পক্ষে। কেউ আবার তাকে খেলানোর পক্ষে।

এর পেছনে কারণও আছে। এবারের কেন্দ্রীয় চুক্তির আগে ক্রিকেটারদের সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে যারা চুক্তি করবে তারা যেন অবশ্যই অ্যাভেইলেভেল থাকে। শুধু তাই নয়, কারো ছুটির প্রয়োজন হলে সিরিজ শুরুর আগে জানালে হবে না। তবে গুরুতর বিষয় অবশ্যই আমলে আনবে বিসিবি।

তবে জোর করে কোনো ক্রিকেটারকে খেলানোর পক্ষে নয় এক অংশ। তাদের মত, একজন ক্রিকেটার যখন নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে তাকে দলের সঙ্গে না নেওয়ায় ভালো। এতে দলের সঙ্গে থেকেও তার সেরাটা পাওয়া যাবে না।’

৯ নভেম্বর নিউ জিল্যান্ড উড়াল দেবেন মুমিনুলরা। পহেলা জানুয়ারি শুরু হবে সিরিজ। সাকিব আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছেন শনিবার। এর আগে বিসিবি সভাপতি গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে সে কিছু বলেনি, আমাকে খবর দিয়েছে (নিউ জিল্যান্ড না যাওয়ার ব্যাপারে) । আমি বলেছি না আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে হবে, তারপরে দেখবো। দেখি কী ব্যাখ্যা দেয়, কারণ তো একটা দিতে হবে।’

শেষ পর্যন্ত সাকিবের ছুটি মঞ্জুর হলে এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার নিউ জিল্যান্ড সফরে যাবেন না। এ বছরের শুরুতে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউ জিল্যান্ড গিয়েছিল বাংলাদেশ। সন্তানসম্ভ্যবা স্ত্রীর পাশে থাকতে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে সাকিব অধিনায়ক থাকলেও ছুটি নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সবশেষ নিউ জিল্যান্ড সফর করেছেন তিনি। টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা ২১৭ সালের ইনিংসটি খেলেছিলেন সেই সফরেই।

দেশের বাইরে টেস্টে অনিয়মিত তিনি। এপ্রিলে দেশের খেলা বাদ দিয়ে অংশ নিয়েছিলেন আইপিএলে। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি ৬ মাসের বিরতি চেয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। তখন বিসিবি তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ছুটি দিয়েছিল।