খালেদ আহমেদের বলে ডিপ পয়েন্ট অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে ১ রান নিলেন ফাওয়াদ আলম। নিজের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে দলের স্কোর দাঁড়ালো ৩০০। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ১ ঘণ্টা পার হয়েছে তখন। ড্রেসিংরুম থেকে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম সংকেত দিলেন ইনিংস ঘোষণার।
তখনই বোঝা গিয়েছিল পাকিস্তানের লক্ষ্য বড় কিছু। দিন শেষে বাংলাদেশের ব্যাটিংকে গুঁড়িয়ে দেওয়া স্পিনার সাজিদ খান জানালেন তাদের লক্ষ্য প্রতিপক্ষকে দুইবার অলআউট করা। আর সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যেন হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সাজিদ বলেন, ‘কাল (বুধবার) এই তিনজনকে (বাংলাদেশের শেষ তিন ব্যাটসম্যান) আউট করব। তারপর তাদের আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাব এবং আবার অলআউট করব। আমরা জেতার জন্যই নামব। বাবর ভাই আমাদের বলেছেন, সবাই জেতার জন্য ও আক্রমণাত্মক মনোভাবে খেলার জন্য মাঠে নামব। আমরা সবাই সেটাই করেছি।‘
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) পাকিস্তান ৩০০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। যে পিচে বাবর-ফাওয়াদ-রিজওয়ানরা সাবলীল ব্যাটিং করে রান তুলেছেন সেখানে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা ভিরমি খেয়েছেন। একের পর এক উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন। দিন শেষে এখন ফলো অনের শঙ্কা। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান। ফলোঅন এড়াতে হলে আরো ২৫ রান করতে হবে। একমাত্র আশা হয়ে ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান। তিনি ২৩ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে মাত্র ৩টি টেস্ট খেলা সাজিদ একাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চরকির মতো ঘুরিয়েছেন। ৭টি উইকেটের মধ্যে ৬ উইকেটই তার। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো অন্তত ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব। ১২ ওভার বোলিং করে ৩৫ রান দিয়ে তিনি এই উইকেটগুলো নেন।
আরেক স্পিনার নওমান আলীর পরামর্শে এক জায়গায় বোলিং করে সফল হয়েছেন এই ডানহাতি অফস্পিনার। ‘অবশ্যই নওমান ভাই অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন বোলার। লম্বা সময় ধরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছেন। উনি আমাকে বারবার একটা কথাই বলেছেন, চার হোক ছয় হোক এক জায়গাতেই বোলিং করে যেতে হবে। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বল করতে থাকলে আপনি সফল হবেনই‘- এভাবেই বলেছেন সাজিদ।
সাজিদের ঘূর্ণিতে পঞ্চম দিন পাকিস্তান যেখানে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নামবে, সেখানে স্বাগতিক দল আছে ফলো অন এড়ানোর চিন্তায়। সাকিব কি পারবেন ফলোঅন এড়িয়ে সাজিদদের স্বপ্ন ভঙ্গ করে ড্র-য়ের দিকে নিয়ে যেতে?