দল হারলে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্নগুলো উঠে আসে। এই যেমন, আপনার দলে যারা আছেন তারা কি টেস্ট খেলতে জানেন? আবার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আরেকটি প্রশ্ন, বাংলাদেশ দল এমন অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে যে, একবার রান করলেন সেটা নিয়েই স্থায়ী হয়ে গেলেন? যে কোনো অধিনায়কের জন্য এমন প্রশ্ন শোনা কষ্টকর। ঢাকা টেস্ট হারের পর মুমিনুল হক প্রশ্নগুলো নিয়েছেন, উত্তরও দিয়েছেন। কিন্তু তার হৃদয়ও যে পুড়ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অধিনায়ক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেবেন, নিজেও রান করবেন, সতীর্থদের থেকে পারফরম্যান্স আদায় করবেন, এতটুকুই তো কাজ। কিন্তু মুমিনুলের হচ্ছে না কিছুই। এজন্য অধিনায়ক হিসেবে বেশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছেন তিনি। বর্তমান অবস্থায় যে নিজে এবং দল খুব ভালো অবস্থানে নেই তা স্বীকার করতে দ্বিধা করেননি, ‘বর্তমান অবস্থার কথা চিন্তা করলে, আমার কাছে মনে হয়... আমরা একদমই ভালো অবস্থায় নেই। কারণ ঘরের মাঠেই দুইটা টেস্ট ম্যাচ হেরেছি। ম্যাচ হারলে তো কোনো সময় ভালো যায় না।’
মুমিনুলের বিশ্বাস এ আঁধার কাটিয়ে আলোর দেখা পাবেন, ‘আমরা যখন আবার একটু ভালো অবস্থানে যাব, তখন দেখবেন আবার মোটামুটি সব ঠিক হয়ে যাবে।’ নিজেদের এ ব্যর্থতার জন্য খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা বললেন অধিনায়ক। ঢাকা টেস্ট হেরে রাতেই নিউ জিল্যান্ডে উড়াল দিয়েছেন মুমিনুলরা। সেখানেও খেলবেন দুই টেস্ট। কিউইদের মাটিতেই হবে সিরিজের প্রস্তুতি।
দেশ ছাড়ার আগে আশার কথা শুনিয়েছেন মুমিনুল, ‘পরবর্তীতে যে দলের বিপক্ষে খেলব, সেই দলের শক্তিমত্তা অনুযায়ী আমাদের অনুশীলন করা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। যেহেতু টেস্টে আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমি জানি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্কিল নিয়ে কাজ করার সময় খুব কম। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এই সময়ের মধ্যে আপনাকে কাজ করতে হবে। মানসিক দক্ষতার উন্নতি করা আমার গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। যার বিপক্ষে খেলবেন তার সুনির্দিষ্ট শক্তি অনুযায়ী পরিকল্পনা করে উন্নতি করতে হবে একজন ব্যাটসম্যানের। এটা আমি হই বা অন্য কেউ হোক করতে হবে। আপনাকে উপায়টা বের করতে হবে কোনদিক দিয়ে কোন বোলারের বিরুদ্ধে কোন দিকে স্কোর করা যায়, কোনটা দুর্বলতা আছে।’