মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ হয় মুশফিকুর রহিমের চারে। তবে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়া ম্যাচে প্রায় আড়ালেই ছিলেন তিনি। যেখানে ছিলেন না মুশফিকের দীর্ঘ দিনের সতীর্থ সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালও।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আগে থেকেই নেই। তাদের ছাড়া দেশের বাইরে টেস্ট জেতা বিরাট কীর্তি। সাকিব চাইলেই ইতিহাসের অংশ হতে পারতেন। কিন্তু পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়েছেন তিনি। দল জেতায়, এখন কি একটুও আফসোস হচ্ছে সাকিবের?
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের উত্তর তার মুখ থেকেই শুনুন, ‘না! আমি বরঞ্চ খুশি হয়েছি। আমি থাকা না থাকা আমার কাছে বড় বিষয় না। আমার কাছে বড় বিষয় যেই দলটা গিয়েছে তারা কেমন ফলাফল করবে। আমি খুবই খুশি প্রতিটা খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের ওপর।’
টেস্টের শীর্ষ ৫ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় কিংবা ড্র এতোদিন ছিল শুধুই দেশের মাটিতে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশ হারিয়েছে আতিথেয়তা দিয়ে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করেছে ঘরের মাটিতেই। এবার শীর্ষ ৫ দলের একটির বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলো দেশের বাইরে। অনবদ্য এক অর্জনে নিজেদের একধাপ উঠিয়ে নিলো বাংলাদেশ।
দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এ সাফল্য নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘বছরের শুরুটা আসলে যেভাবে হলো সেটা অবিশ্বাস্য। খুবই আনন্দিত। দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ সবাইকে ক্রেডিট দিতে হয়। যেহেতু আমাদের আগের বছরটা ভালো যায়নি, তাই এই বছরটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শুরুটা যেহেতু আমাদের ভালো হয়েছে তাই আমরা আশাবাদী এই বছরটায় আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় অর্জন এবং তা এলো দেশের ক্রিকেটে সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবদান ছাড়াই। তাদের ছাড়া দল কিভাবে এগোবে সেই প্রশ্ন উঁকি দিয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে ভালোভাবেই। সাকিবের কন্ঠে একই সুর, ‘এটা অবশ্যই ভালো দিক যে, আপনারা মিডিয়া যেভাবে মনে করেন যে আমরা চার পাঁচজন ছাড়া ভালো ক্রিকেটার নেই, সেটা ভুল প্রমাণিত হলো এবং তাদের যদি এভাবে আরও দায়িত্ব দেওয়া যায় তাহলে আমার মনে হয় ওরা আরও ভালো করবে।’