তিন সংস্করণে টানা খেলা থাকার কারণে ক্রিকেটাররা সব জায়গায় ভালো খেলতে পারেন না। কোনো এক সংস্করণে মনোনিবেশ করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরেকটি খারাপ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চায় সিনিয়র ক্রিকেটাররাও নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্দিষ্ট সংস্করণে মনোনিবেশ করুক। যদি নিজে থেকে সরে না দাঁড়ায়, সব সংস্করণেই খেলতে চায়— তাহলে সেই সিদ্ধান্ত নেবে ক্রিকেট বোর্ড।
এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। রোববার (৮ মে) কোচিং স্টাফ ও টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।
নিজ থেকেই টেস্ট ক্রিকেট ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তামিম ইকবাল খেলছেন না টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। মুশফিকুর রহিম দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে করেন পাপন। সাকিব আল হাসানের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি তিনি। ক্রিকেটারদের সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে বোর্ড হস্তক্ষেপ করবে না। তাদের কষ্ট দিতেও চান না বলে জানান বিসিবি সভাপতি। সরতে হবে নিজ থেকে।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এই প্লেয়ারগুলোকে আমরা চাই না তারা মন খারাপ করে যাক, আমরা চাই তারা হাসিমুখে যাক। নিজেরা সিদ্ধান্ত নিক, যত তাড়াতাড়ি তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ততই ভালো। কিন্তু একটা সময় তো আসবে যদি সিদ্ধান্ত না নেয়, তখন আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের বলতে আমি না, কোচিং স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট, সবাইকে নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
এর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে বিসিবি সভাপতির মন্তব্য, ক্রিকেটে একটা বিরাট পরিবর্তন আসছে। টি-টোয়েন্টিতে যদি আপনার মনোযোগ থাকে তাহলে আপনার অন্য একটা ফরম্যাটে মনোযোগ বা পারফরম্যান্স খারাপ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। অনেক ভালো টেস্ট প্লেয়ার দেখবেন যারা টি-টোয়েন্টিতে মনোনিবেশ করছে টেস্টে তাদের পারফরম্যান্স হয়নি এবং তারা আস্তে আস্তে সরে আসছে। এটা খুবই ন্যাচরাল।’
সিনিয়রদের মধ্যে মুশফিক-সাকিব সব সংস্করণে খেলে থাকেন। তবে সাকিবকে পাওয়া যায় না সব সময়। তাই তার ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেননি বিসিবি সভাপতি।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘অলরেডি তো রিয়াদ টেস্ট থেকে সরে আসছে, তামিম টি-টোয়েন্টি খেলছে না, মুশফিক এখনো খেলছে, বাট ওর চিন্তাভাবনা জানা যাবে; ও কী চিন্তাভাবনা করছে, আমরা জানতে পারবো।’
‘সাকিবের ব্যাপারটা আবার এদের কারোর সাথে মিলে না। সাকিবের ব্যাপারটা বলাটা কঠিন। সব ফরম্যাটে সবাই ওকে চায়, কিন্তু ওকে পাওয়াটা কঠিন। আমরা আসলে নিজেরাই জানি না ও কোনটা খেলবে, কোনটা খেলবে না। ওর সাথে আমি যখন কথা বলি আমার মনে হয় ও সবগুলোই খেলতে চায়। কিন্তু আবার যখন খেলা আসে, তখন দেখা যায় ওর সমস্যা। কিছু না কিছু সমস্যা থাকে, এটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই। সুতরাং আসলে ওরটা বলা একটু কঠিন’-সাকিবকে নিয়ে এভাবেই বলেন বিসিবি সভাপতি।