শ্রীলঙ্কা যখন ঢাকায় পা রাখে সেদিন কোচিং স্টাফ ও টেস্ট অধিনায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে টেস্ট ক্রিকেটের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে কোচরা বলেছেন, টানা ২ টেস্ট খেলার মানসিকতা নেই বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান কোচদের সঙ্গে একমত। তবে সেই সঙ্গে বলছেন, বাংলাদেশ টেস্টের অন্যতম সেরা ফিট দল।
বৃহস্পতিবার ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সাকিব বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা টেস্ট ক্রিকেটে ওয়ান অব দ্য ফিটেস্ট টিম। কারণ আমরা ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ফিল্ডিং করি। কাজেই ফিজিক্যালি আমরা ফিট। তবে মানসিক সমস্যাটা হয়ত অনেক বেশি।'
কথা পরিষ্কার। ম্যাচের জন্য ফিজিক্যালি ফিট কিন্তু মানসিকতায় পরিবর্তন প্রয়োজন। সাকিবের বিশ্লেষণের সত্যতা চলতি সিরিজেই মিলেছে। দুই টেস্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যেখানে মোট ৪০৮ ওভার ফিল্ডিং করেছে। আর শ্রীলঙ্কা করেছে ৩০০ ওভারের ও কম। ফিট না হলে কি আর এমন গরমে এত লম্বা সময় ফিল্ডিং করা যায়? শুধু এই সিরিজই না, যে কোনো সিরিজেই এটাই বেশি ঘটে।
তবে সাকিব জোর দিয়েছেন খেলোয়াড়দের মানসিকতা পরিবর্তনের বিষয়। টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্যের খেলা। ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হয় বুঝে শুনে। এখানেই যে ভুল করে বসেন মুমিনুল-শান্তরা। যেমন আজ দল যখন বিপদে মুমিনুল গেলেন অহেতুক শট খেলতে। খোঁচা লেগে বল উইকেটের পেছনে। শান্ত উইকেট হারালেন রান আউটে। মানসিকভাবে দৃঢ়, স্থির কিংবা টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি শতভাগ নিবেদন না থাকলে এখানে ভালো করা অসম্ভব।
মানসিকতা নিয়ে কাজ করা জরুরি জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘এই জায়গাতে (মানসিকতা) আমাদের অনেক বেশি কাজ করার আছে। ফিজিক্যালি কিন্তু আমরা অনেক বেশি ফিট। আপনি দেখেন, সব মিলিয়ে তিন ইনিংসে বোধহয় চারশো, সাড়ে চারশো ওভার ফিল্ডিং করেছি। ফিট না হলে এই যে লিটন সাড়ে চারশো ওভার কিপিং করে ব্যাট করছে। মুশফিক ভাই ব্যাট করে ১৭৫ রান করছে। লিটন করছে।’
সাকিব যোগ করেন, ‘মানসিক সমস্যা নিয়ে কাজ করার আছে। আমরা হয়ত ব্যর্থ হওয়ার ভয় করি। ভাবি ফল খারাপ হবে। উল্টাভাবে চিন্তা করলে হয়ত অনেক বেটার কিছু আসতে পারে।'