ঘুরেফিরে টেস্ট অধিনায়ক হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ফিক্সিংয়ের বিষয় গোপন করায় ২০১৯ সালের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সে সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তড়িঘড়ি মুমিনুল হককে টেস্ট অধিনায়ক ঘোষণা করে। সেই দায়িত্ব এবার আসছে সাকিবের কাঁধেই।
ফর্মহীনতায় থাকায় নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ছেন মুমিনুল। মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় বৈঠক করে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেন মুমিনুল।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুমিনুল বলেন, ‘শেষ কয়েকটা সিরিজ অধিনায়ক হিসেবে অবদান রাখতে পারছি না। এসময় দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয়, নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া ভালো। আপাতত এ কথাগুলো বলে আসছি। আমিতো বলে এসেছি, এখন উনাদের ব্যাপার। কী সিদ্ধান্ত নেবেন উনারা জানেন।’
মুমিনুল নেতৃত্ব ছাড়াতে সাকিবই বিসিবির প্রথম পছন্দ। এ ব্যাপারে সাকিব সবুজ সংকেতও দিয়েছেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে ২ জুন। এদিন বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেখানেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
রাইজিংবিডিকে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, ‘২ জুন আমাদের বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে টেস্ট অধিনায়কের বিষয়টি। নতুন অধিনায়কের নাম জানার জন্য আরো একদিন অপেক্ষা করতে হবে।’
এ ছাড়া সাকিবের অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি টিটু। সন্ধ্যায় সাকিবকে নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, কেন থাকবে না? সাকিব একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। মুমিনুলের জায়গায় অভিজ্ঞ কাউকেই দেওয়া হবে এটাই তো সিদ্ধান্ত হবে। তবে সাকিব আজ দেশে চলে এসেছে মানে ওকেই চূড়ান্ত করা হবে তা না। হতেও পারে, আবার না-ও হতে পারে। এটা আসলে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যায় না’।
সাকিব যে অধিনায়ক এটা শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি। এই নিয়ে তৃতীয়বার তিনি টেস্ট অধিনায়ক হচ্ছেন। ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার চোটে পড়লে সিরিজের মাঝে অধিনায়ক করা হয় সাকিবকে। এরপর ২০১৮ সালে পাকাপাকিভাবে নেতৃত্ব পান। নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে নেতৃত্ব হারান। আবার ২০২২ সালে পেতে যাচ্ছেন নেতৃত্ব।
সাকিবের অধীনে বাংলাদেশ ১৪টি টেস্ট খেলে ৩টি জয় পেয়েছিল, হেরেছিল ১১টি ম্যাচে। এসময় ব্যাট হাতে ৩৫.৩০ গড়ে ৯১৮ রান করেন তিনি। আর বল হাতে নেন ৬১ উইকেট।
সাকিব ফিরছেন অধিনায়ক হিসেবে, এবার সাদা পোশাকে বাংলাদেশের ভাগ্য বদলাবে তো?