অধিনায়কত্বের চাপ খালেদ মাহমুদ সুজনও টের পেয়েছিলেন। তার অধীনে দলের অবস্থা খুব ভালো ছিল না। নানামুখী চাপে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনিও। বুধবার মিরপুরে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন বাংলাদেশের বর্তমান টিম ডিরেক্টর, ‘আমার ক্যারিয়ারেও এমন একটা সময় এসেছিল যে অধিনায়কত্ব করতে করতে পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়েছিল।’
সেই একই চাপে হারিয়ে যাওয়ার আগে মুমিনুল হক ছেড়েছেন টেস্ট অধিনায়কত্ব। তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন খালেদ মাহমুদ, ‘মুমিনুলের এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত।’ কেন? সেই ব্যাখাও দিয়েছেন তিনি,‘আমি মনে করি মুমিনুল প্রথমে পারফর্মার। অধিনায়কত্বে সে চেষ্টা করেছে ওর সেরাটা দিতে। আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি, খুবই মনোযোগী ছেলে। অধিানয়কত্বও মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করেছে, যতটুকু পারে। পুরো দলকে প্রভাবিত করা, একসাথে রাখা সব সে করেছে। দুর্ভাগ্যবশত এই কাজগুলো করতে করতে ওর খেলার ওপর একটা প্রভাব পড়ে গেছে।’
দলের বাজে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি মুমিনুল ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ। অধিনায়কত্ব তার পারফরম্যান্সে কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা এই পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হবে। অধিনায়ক হিসেবে ১৭ ম্যাচে মুমিনুলের রান ৯১২। ব্যাটিং গড় ৩১.৪৪। পেয়েছেন ৩ সেঞ্চুরি। আর অধিনায়কত্বের আগে ৩৬ টেস্টে ৪১.৪৭ গড়ে রান করেছেন ২৬১৩। সেঞ্চুরি ছিল ৮টি।
অথচ শেষ ১০ ইনিংসে মুমিনুলের রান মাত্র ৭৪। ৮ ইনিংসেই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। তিনটিতেই মেরেছেন ডাক। অধিনায়কত্ব ছাড়ায় মুমিনুল সামনেই রানের ফোয়ারা ছুটাবেন বলে খালেদ মাহমুদের বিশ্বাস,‘ক্যারিয়ারটা এখনও অনেক দূর নিয়ে যেতে হবে তাকে। তরুণ বয়সেই ও ওর পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছিল, এখন তো অনেক পরিণত হয়েছে। আশা করছি আগামী (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) সিরিজ থেকে আমরা অন্য মুমিনুলকে পাবো, ও রানের ধারায় ফিরবে। ওর রানে ফেরাটা আমাদের দলের জন্য খুবই জরুরি।’