খেলাধুলা

এই দলের অনেক উন্নতি বাকি: তামিম

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-১ এ ওয়ানডে সিরিজ হার তামিম ইকবালের মুখের হাসি অনেকটাই কেড়ে নিয়েছে। সামনের বছরই যখন ওয়ানডে বিশ্বকাপ, তার আগে এমন ব্যর্থতা তার চোখ অনেকটাই খুলে দিয়েছে। তার উপলব্ধি, এই দলের আরও অনেক উন্নতি প্রয়োজন। দল জিতলে ব্যর্থতা, ঘাটতিগুলো আড়াল হয়ে যায়। হারলে সেগুলো সামনে আসে। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ একাধিক সুযোগ নষ্ট করেও ম্যাচ জিতেছিল। জিম্বাবুয়েতে সিরিজ হারের পেছনে বড় কারণ ফিল্ডিংয়ে সুযোগ নষ্ট করা। তামিম প্রথম ওয়ানডের পরই জানিয়েছিলেন, ফিল্ডিংয়ের কারণে যে কোনও দিনই বাংলাদেশ ভুগতে পারে। তবে সেসব ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন দলীয় অধিনায়ক। 

সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেছেন, ‘যখনই দল হারে, বিশেষ করে আমরা যখন হারি, তখনই উন্নতির কথা তুলে নিয়ে আসি। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে সিরিজ জেতা উচিত ছিল আমাদের। এখানে কোনোভাবেই কোনও অজুহাত দিতে পারবো না। উন্নতির কথা বলতে গেলেই একঘেয়ে একই কথা চলে আসে। হারলেই বলা হয় ‘এটা করা উচিত, ওটা করা উচিত।’ এখন যেটি বলবো, সেটি আপনাদের পছন্দ হতে পারে, নাও পারে। তবে আপনারা চিন্তা করে দেখবেন। এই সিরিজটা আমরা যেভাবে হেরেছি, যদি ভারত, অস্ট্রেলিয়া বা শীর্ষ কোনও দলের সঙ্গে হারতাম, তাহলে এমন প্রশ্ন উঠতো না। হয়তো দেখা গেলো, (বিরাট) কোহলি বা (স্টিভ) স্মিথ এমন ইনিংস খেললে আমরা মেনে নিতাম।’ 

কোথায় উন্নতি করতে হবে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তামিম। তবে ওয়ানডেতে নিয়মিত ৩৫০ রান করার তাগিদ অনুভব করছেন অধিনায়ক, ‘অবশ্যই (এমন উইকেটে ৩০০ রান যথেষ্ট নয়)… আমাদের দলীয় লক্ষ্যগুলোর একটি এটি যে, সামনের পথচলায় আমরা ৩৫০ করতে চাই। এটি আমাদের ভাবনায় আছে যে সাড়ে তিনশ করতে চাই, আগে যা কখনও করতে পারিনি। যদি ভারতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের কথা ভাবি, ওখানে ‘পার স্কোর’ হবে ৩০০ রান। গোটা খেলা ক্রমে বদলাচ্ছে। মিরপুর বা ভারতের কিছু মাঠে হয়তো ২৬০-২৭০ করেও জয় সম্ভব। তবে বেশির ভাগ ভেন্যুতেই ২৯০, ৩০০, ৩১০- এমন করতে হবে। এটা নিয়ে আমরা সচেতন আছি। আমি নিশ্চিত, সামনের দিনগুলোতে আমাদেরও সেখানে পৌঁছাতে দেখবেন আপনারা, যেখানে অন্যরা যাচ্ছে।’