আগে নিয়ম ছিল রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় ৬ বছর ও ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় ৩ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন একজন। সৌরভ গাঙ্গুলি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর হয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি।
লোধা কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী সেখানে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর বাধ্যতামূলক কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হয়। সেটা নিয়ে খানিকটা বিপাকেই পড়েছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক জয় সাহ। কারণ, তাদের যে কুলিং অফ পিরিয়ড পার হয়ে গেছে আরও দুই বছর আগে। তাদের তো দায়িত্ব ছাড়া উচিত।
কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তারা দুই বছর ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা দায়িত্ব ছেড়ে দিলে বিসিসিআই কিছুটা ঝামেলায় পড়বে। সেটা এড়াতেই সৌরভ ও জয়কে প্রশাসনে রাখতে সুপ্রিম কোর্টে বোর্ড আপিল করে কুলিং অফ নিয়ম বাতিল করতে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে এই আপিলের শুনানি হয়। শুনানির পর দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, রাজ্য সংস্থায় ৬ বছর সভাপতি পদে থাকার পর বিসিসিআই’র প্রধানের পদে ৬ বছর থাকা যাবে। তারপর বাধ্যতামূলক কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে।
এই রায়ে বিরাট স্বস্তিই পেয়েছেন সৌরভ ও জয়। কারণ, রায়ে বিসিসিআইতে সৌরভের মেয়াদ ডাবল হয়ে গেল অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনি সভাপতি পদে থাকতে পারবেন। অন্যদিকে জয় সাহ অবশ্য তার মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়িয়ে নিয়েছেন। তিনি থাকতে পারবেন ২০২৮ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি বিসিসিআই’র সভাপতি হতে পারবেন।
গেল কয়েক মাস ধরেই সৌরভ ও জয়ের কুলিং-অফে যাওয়া নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল। ছিল শঙ্কাও। তাদের অবশ্য বোর্ডের প্রশাসনে রাখার পক্ষেই চেষ্টাই করা হচ্ছিল। বুধবার আদালত বোর্ডের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ায় স্বস্তি ফিরলো।