সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান- ১২.২ ওভারে ৭২/১
বাংলাদেশ- ২০ ওভারে ৭০/৮; ফল: পাকিস্তান জয়ী ৯ উইকেটে।
মালয়েশিয়ার পর স্বাগতিক বাংলাদেশকেও ৯ উইকেটে হারালো পাকিস্তানের মেয়েরা। এশিয়া কাপে টানা দুই জয়ে দারুণ অবস্থানে তারা। মাত্র ৭০ রানে বাংলাদেশকে থামিয়ে ১ উইকেটের বিনিময়ে জিতে গেছে গত আসরের তৃতীয় দলটি। ১৩তম ওভারে বিসমাহ মারুফের বাউন্ডারিতে জয় নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের। তিনি ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন, সিদ্রা খেলছিলেন ৩৬ রানে। একমাত্র উইকেট হারান মুনীবা আলী (১৪)।
আগামী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ তাদের পরের ম্যাচ খেলবে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে।
৪৯ রানে প্রথম উইকেট পেলো বাংলাদেশ
৭১ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান কোনও বাধার মুখে পড়েনি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪০ রান করেছে। উদ্বোধনী জুটিতে মুনীবা আলী ও সিদ্রা আমিন সহজ জয়ের পথে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। কিন্তু ৪৯ রানে তাদের জুটি ভেঙে দিয়েছেন সালমা খাতুন। মুনীবাকে ১৪ রানে পেছনে শামীমা সুলতানার ক্যাচ বানান তিনি।
৭০ রানে থামলো বাংলাদেশ
পাকিস্তানি বোলাররা মাত্র ৭০ রানে আটকে দিলো বাংলাদেশকে। ৩ রানে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে যে ধাক্কা খেয়েছিল স্বাগতিকরা, তা কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। যদিও নিগার সুলতানা জ্যোতি ও লতা মন্ডল হাল ধরেছিলেন। কিন্তু তাদের বিদায়ে আবার ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ।
৫০ রান না করতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪৮ রানে ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে চাপে পড়ে তারা। এরপর সালমা খাতুন ইনিংস সেরা ২৪ রান করে কোনোভাবে দলীয় স্কোর সত্তরের ঘরে নেন।
লতা ও জ্যোতির পর ১৬তম ওভারে তুবা হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ওমাইমা সোহেলের শিকার হলেন সোবহানা মোস্তারি। ৮ বল খেলে ২ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ ৫৮ রানে, সালমা দ্বিতীয় রান নিতে গেলে রিতু মনি রান আউট হন। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে এই উইকেট যাওয়ার পর নামে বৃষ্টি, তাতে প্রায় আধঘণ্টা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হয়।
অবশ্য খেলা শুরু হতেই আরও একটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নাহিদা আক্তার হন রান আউট। সালমা অপরাজিত ছিলেন ২৪ রানে।
দলকে বিপদে রেখে বিদায় জ্যোতির
৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর নিগার সুলতানা জ্যোতি ও লতা মন্ডলের জুটিতে আশা জেগেছিল। কিন্তু নিদা দার দুজনকেই আউট করলেন। লতা ১২ রানে ও জ্যোতি ১৭ রানে বিদায় নিলেন। ৪২ রানে নেই বাংলাদেশের ৫ উইকেট।
জ্যোতির সঙ্গে জুটি বড় করতে পারলেন না লতা
নিগার সুলতানা জ্যোতির সঙ্গে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারলেও জুটি বড় করতে পারলেন না লতা মন্ডল। দলীয় ২৭ রানে তিনি বিদায় নেন। ১৯ বলে ১২ রান করেন লতা। নিদা দারের শিকার তিনি।
জ্যোতি-লতার ব্যাটে প্রতিরোধ
লতা মন্ডল ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে প্রতিরোধ গড়েছে বাংলাদেশ। ৩ রানে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল স্বাগতিকরা।
প্রতি রানে ১টি করে উইকেট হারালো বাংলাদেশ
পাকিস্তানের কাছে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারের শেষ বলে শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হক বিদায় নেন। ২ রানেই হারায় ২ উইকেট। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে রুমানা আহমেদও আউট হন। ৩ রানে ৩ উইকেট নেই স্বাগতিকদের। তিন ব্যাটসম্যানই ১ রানে বিদায় নিয়েছেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
দারুণ জয়ে মেয়েদের এশিয়া কাপ শুরু করা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্য বেশ মলিন। ১৫ বারের দেখায় জিতেছে কেবল একটিতে। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপেই কেবল পাকিস্তানকে হারিয়েছে, সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ৩০ রানে অলআউট হওয়ার নজিরও আছে।
তবে ওয়ানডেতে দুই দলই সমানে সমান। ১২ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৬ টিতে, আছে পাকিস্তানের মাটিতেই তাদের হারানোর কৃতিত্ব। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাদের হারিয়েছিল বাংলার মেয়েরা।
এ সব পরিসংখ্যানে ভাঙতে চান না রুমানা। মাঠের খেলাই আসল তার কাছে, ‘আমরা তো আমাদের শক্তির জায়গা দেখবো। আমরাও শক্তভাবেই এগোচ্ছি। শেষ কয়েকটা টুর্নামেন্টে আমাদের মেয়েরা অনেক ভালো করেছে। ইনফ্যাক্ট বড় কিছু অর্জন করার লক্ষ্য আমাদের। আমরা শক্তভাবে এগোচ্ছি, এটুকু বলতে পারি আমাদের মেয়েরা ভালো করছে। সামনের ম্যাচগুলোতে আরও ভালো করবে।’
বাংলাদেশ স্কোয়াড: নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), ফারজানা হক, সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, শামীমা সুলতানা (উইকেটকিপার), নাহিদা আক্তার, রিতু মনি, লতা মন্ডল, সোবহান মোস্তারি, সোহেলী আখতার, সানজিদা আক্তার।
পাকিস্তান স্কোয়াড: মুনীবা আলী (উইকেটকিপার), সিদ্রা আমিন, বিসমাহ মারুফ (অধিনায়ক), ওমাইমা সোহেল, নিদা দার, আলিয়া রিয়াজ, আয়েশা নাসিম, ডায়ানা বেগ, তুবা হাসান, নাশরা সান্ধু, সাদিয়া ইকবাল।