খেলাধুলা

সি ইউ টুমোরো

দুই সপ্তাহের বেশি সময় জুড়ে এই পথ দিয়ে আসা-যাওয়া। চারদিকে সবুজের সমারোহ। এক চিলতে রোদ কিংবা এক পশলা বৃষ্টি, লাক্কাতুরা চা বাগান যেন হয়ে ওঠে নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের একখণ্ড ক্যানভাস।

এই দৃশ্যের পাশ দিয়ে আসা-যাওয়া করলেও ভারত নারী দলের অধিনায়ক হারমনপ্রীত কৌরের চোখ যেন এখানে পড়েনি। নাহয় কি এশিয়া কাপ শেষের আগের দিন চা বাগান দেখে এত মুগ্ধতা?

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে শনিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। তার আগে এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনের জন্য বেছে নেয় লাক্কাতুরা চা বাগানকে।

এমনিতেই বিকেল হলে লাক্কাতুরায় দর্শনার্থীদের ভিড়ভাট্টা লেগেই থাকে। দূর দুরান্ত থাকা আসা দর্শনার্থীদের ভিড়ের সঙ্গে স্থানীয় অনেকেই আসছিলেন পরিবার নিয়ে সময় কাটাতে। শুক্রবার ছুটির দিন বলে কথা।

বিকেল সোয়া ৪টার দিকে হারমনপ্রীত-চামারির ফটোসেশন। সবুজের মাঝে সোনালি ট্রফিতে বিকেলের মিষ্টি রোদের আভা যেন চকচক করছিল। চা বাগানের উঁচু টিলায় ট্রফি হাতে দুজনে পোজ দেন হাসিমুখে। কাল ঠিক এ সময়ে ট্রফি নিয়ে শেষ হাসি হাসবেন কিন্তু একজনই।

ফটোসেশনের পর হারমনপ্রীত এক বাক্যে যেন হুমকি দিয়ে গেলেন, ‘সি ইউ টুমোরো’। কিন্তু চামারি ছিলেন চুপ। হয়তো মাঠেই জবাব দেবেন তিনি।

যদিও ফটোসেশন নিয়ে আয়োজক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও এসিসির মাঝে ছিল সমন্বয়হীনতা। ভারত অধিনায়ক অপেক্ষা করছিলেন স্টেডিয়ামে আর লঙ্কান অধিনায়ক চা বাগানে। তবে শেষ পর্যন্ত সুন্দরভাবেই সমাপ্তি হয়।

এশিয়া কাপে সফল দল ভারত। এর আগে টুর্নামেন্টের ৭টি আসরের ৬টিতেই চ্যাম্পিয়ন ভারত। আর শ্রীলঙ্কা চারবার ফাইনালে উঠে প্রত্যেকবারই রানার্স-আপ।

চলতি টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসবেই খেলতে আসে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র হার ছাড়া প্রতিটি ম্যাচেই জিতেছে দাপটের সঙ্গে। অন্যদিকে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে লঙ্কানরা। বিদায় করেছে স্বাগতিক ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবং ট্রফির অন্যতম দাবিদার পাকিস্তানকে।

ফটোসেশনের আগে সংবাদ সম্মেলনে হারমনপ্রীতের ভাবনা পজিটিভ। যখন কোনো দলের মানদণ্ড ঠিক হবে, ‘তখন তাদের কাছে অনেক প্রত্যাশা থাকে। আমাদের জন্য ধারবাহিকভাবে ভালো খেলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি কিন্তু এটা নতুন একটি খেলা। আমাদের এখানে থাকতে হবে, পজিটিভলি দেখতে হবে।’

অন্যদিকে চামারিও হাঁটলেন হারমনপ্রীতের পথে, ‘আমি সবসময় পজিটিভলি খেলার চিন্তা করি। এটা আমাদের খেলার পরিকল্পনা। আমি আমার দলকেও বলেছি, পজিটিভভাবে খেলার জন্য।’