খেলাধুলা

‘মেসি ফুটবল দেবতাদের উপহার’

১৯৮৬ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর লিওনেল মেসির হাত ধরে আর্জেন্টিনার ঘরে গেলো বিশ্বকাপ শিরোপা। গ্রেটদের কাতারে নিজেকে নিয়ে গেলেন ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ফুটবলের রথী-মহারথীদের মতে, কে সেরা এই বিতর্কের ইতি টেনে দিলেন এলএমটেন।

রোববার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে টাইব্রেকারে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময় শেষে স্কোর ছিল ৩-৩, যেখানে কিলিয়ান এমবাপ্পে করেন হ্যাটট্রিক এবং মেসি করেন জোড়া গোল। পুরো টুর্নামেন্টে সাতটি গোল ও তিনটি অ্যাসিস্ট আর্জেন্টিনা অধিনায়কের। এমন পারফরম্যান্স করে বিশ্বকাপ জেতায় প্রশংসার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছেন মেসি।

ইংল্যান্ডের ফুটবল গ্রেট গ্যারি লিনেকার টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রায় দুই দশক ধরে লিওনেল মেসিকে দেখা সত্যিই বিশেষ প্রাপ্তি। মুহূর্তে মুহূর্তে অবিশ্বাস্য, আনন্দময় ফুটবলের প্রদর্শন। ফুটবল দেবতাদের একটা উপহার সে। আমাদের খেলার সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার সে পাওয়ায় খুবই আনন্দিত।’

একমাত্র ফুটবলার হিসেবে দুটি বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল পেয়েছেন মেসি। ২০১৪ সালে ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি, তবে এবার দুটোই নিলেন। তারই মতো ১৯৯৪ সালে গোল্ডেন বল ও ট্রফি জিতেছিলেন রোমারিও। আর্জেন্টিনা লিজেন্ড ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে উল্লেখ করে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী টুইট করেছেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার বন্ধু ম্যারাডোনা এই জয় দেখে খুশি, যেমনটা আর্জেন্টাইনরা। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা মাঠে ভালো ছিল এবং মেসি তার একমাত্র না পাওয়া ট্রফিটা পেয়ে গেলো, তার দেশের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’

২০০৬ সালে ইতালির বিশ্বকাপ জয়ী তারকা আন্দ্রে পিরলো লিখেছেন, ‘সেরা ফাইনাল। মেসি ও আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন!’ ২০১৪ সালের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জার্মানির মূল একাদশে ছিলেন জেরোমে বোয়েটাং। সামনে থেকে মেসির স্বপ্ন ভেঙে যেতে দেখেছেন। তবে ওই হারের পর আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে শিরোপা জেতায় আর্জেন্টাইন তারকাকে শুভেচ্ছা জানান তিনি, ‘অভিনন্দন লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনা। অবশেষে তুমি ট্রফি পেলে, যেটার সত্যিকারের দাবিদার তুমি।’

বার্সেলোনার সাবেক সতীর্থ ও ব্রাজিলিয়ান তারকা দানি আলভেস উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইনস্টাগ্রামে, ‘ফুটবল তোমাকে ভালোবাসে এবং আমরা যারা ফুটবল ভালোবাসি তারা তোমাকে সম্মান করি এবং এই মুহূর্তের জন্য তোমাকে অভিনন্দন। তোমার পরিবারের সঙ্গে এটা উপভোগ করো। একজন ব্রাজিলিয়ান ও দক্ষিণ আমেরিকান হিসেবে আমি জানি সেটা কাপ জেতার চেয়ে বেশি কিছু।’

ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার রিও ফার্ডিনান্ড মেসির ট্রফি হাতে  নেওয়ার সাক্ষী হতে পেরে রোমাঞ্চিত, ‘আমি আমার নাতি-নাতনিদের বলতে পারবো এই ফাইনালে এখানে ছিলাম আমি। শুধু মেসি বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে নিয়েছে বলে নয়, এমবাপ্পের মাঝে পরের প্রজন্মকে দেখতে পেরেও। তোমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কী দারুণভাবে না শেষ করছো।’

লুসাইলে খেলা দেখতে আসা আর্জেন্টিনার সাবেক রাইটব্যাক পাবলো জাবালেতা বললেন, ‘এটাই অন্যতম মুহূর্ত যেখানে আমি মেসিকে খুঁজেছি। আমি জানি এটার মানে কী। দারুণ খেলার জন্য ফ্রান্সকে বাহবা জানাই। কিন্তু মেসির জন্য একটা সেরা গল্প। আমি এখানে থেকে ম্যাচটা উপভোগ করে খুব খুশি।’