‘বি টু জিরো ১’ – কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কক্ষে থেকে লিওনেল মেসি খেলেছিলেন বিশ্বকাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কক্ষেটিকে এখন থেকে আর ব্যবহার করা হবে না। সেই কক্ষটাকে মিনি জাদুঘরে রূপ দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
কাতার সরকারি নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে মার্কা। কাতারে ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা চাইলেই এখন থেকে মেসির কক্ষ ঘুরে দেখতে পারবেন।
বিলাসবহুল ফাইভ স্টার হোটেলের পরিবর্তে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের আস্থানা বানিয়েছিল আর্জেন্টিনা। যেখানে ফুটবল খেলার মাঠ, কোর্ট, জিম, সুইমিংপুল, অডিটরিয়ামসহ সব কিছু ছিল। বিশ্বকাপ চলাকালে ২৯ দিন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন মেসিরা।
২০১৯ সালে ক্লাব ওয়ার্ল্ডকাপে লিভারপুল দলও এখানে ছিলো। ফিফা মেসিদের ওখানে রাখতে কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কথা বলেছিল। কাতার বিশ্ববিদ্যালয় সেগুলো আপ টু মার্ক করায় মেসিদের ঠাঁই হয় বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ও পাবলিক রিলেশন ডিরেক্টর হিতমি আল হিতমি বলেছেন,‘আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের খেলোয়াড় লিওনেল মেসির কক্ষ অপরিবর্তিত থাকবে এবং শুধুমাত্র দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, বসবাসের জন্য নয়। এটাকে ছোট জাদুঘরে রূপ দেয়া হবে যেখানের মেসির সমস্ত জিনিসপত্র থাকবে এবং ছাত্র ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এগুলো সংরক্ষণ করা হবে যেন তারা দেখতে পারে যে স্মরণীয় অর্জনে পৌঁছতে মেসি কতটা নিবেদন দেখিয়েছেন।’
৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের স্বাদ দিয়েছেন মেসি। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা জিতেছিল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। দীর্ঘ অপেক্ষা ঘুচিয়েছেন মেসি। শুধু আর্জেন্টিনারই নয়, মেসি পেয়ে গেছেন অমরত্বের স্বীকৃতি, সর্বকালের সেরা ফুটবলারের খেতাব।