খেলাধুলা

বিশ্বকাপে খেলতে না পারা ছিল হাল্যান্ডের জ্বালানি

ক্লাবের জার্সিতে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছেন। বিশ্বমঞ্চে সুযোগ পেলে জাতীয় দলের হয়ে হয়তো একই দাপট দেখাতে পারতেন। কিন্তু নরওয়ে বিশ্বকাপে উঠতে পারেনি, তাই ঘরে বসে সময় কাটাতে হয়েছে আর্লিং হাল্যান্ডকে। এই সময়ে বিশ্বকাপে খেলতে না পারাটা বিরক্তিকর হয়ে উঠেছিল তার জন্য, একই সঙ্গে এটি ছিল তার জন্য জ্বালানি। লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে জানুয়ারির আগেই ২০ গোলের রেকর্ড গড়ার পর এই কথা বললেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।

ছয় সপ্তাহের বিরতির পর শুরু হয়েছে ক্লাব ফুটবল, দুই ম্যাচে হাল্যান্ডের গোল তিনটি। বুধবার লিডসের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে জোড়া গোল করে ম্যানসিটির নায়ক হাল্যান্ড। মাত্র ১৪ ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে ২০ গোল করলেন তিনি, যা লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম।

প্রায় দেড় মাস ঘরে থেকেও ধার এতটুকু কমেনি। বিশ্বকাপ খেলতে না পারার আক্ষেপকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন হাল্যান্ড। তিনি বলেন, ‘আমি বাসায় ছিলাম, বিশ্বকাপে খেলতে না পেরে আমি পাগল ছিলাম। আমি আমার ব্যাটারিতে নতুন করে চার্জ দিয়েছি। বিশ্বকাপে অন্যদের গোল করে জেতানো আমাকে আলোড়িত, উজ্জীবিত করেছে। বিরক্তও লেগেছে। আমি আরও ক্ষুধার্ত এবং আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত।’

প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে কোনও খেলোয়াড় ৪০ গোল করতে পারেনি। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৪ গোল করেছেন অ্যালান শিয়ারার ও অ্যান্ডি কোল। হাল্যান্ড সেই রেকর্ড ভাঙার পথে ভালোভাবে আগাচ্ছেন। তিনি এই মৌসুমের জন্য একটি লক্ষ্য ঠিক করে রেখেছেন, তবে তা গোপন রাখলেন, ‘আমার একটি লক্ষ্য আছে, কিন্তু এখন বলতে পারবো না। আমি ড্রেসিংরুমে বলছিলাম পাঁচ গোল করতে পারতাম, কিন্তু সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে জয়। আমার জন্য, একজন স্ট্রাইকার হিসেবে আরও গোল করতে চাই। আরও দুয়েকটি গোল করতে পারতাম, কিন্তু এটাই জীবন এবং আমাকে আরও অনুশীলন করতে হবে।’

২২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড এই লিডস শহরেই জন্ম নিয়েছেন, ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন তার বাবা আলফিও। তাই প্রতিটি গোলের পর উদযাপন ছিল সাদামাটা, ‘এটা বিশেষ। আমি খুশি, আমার ক্যারিয়ারের বিশেষ মুহূর্ত এটা। যখন ছোট ছিলাম, আমার রুমে এরিক বাক্কের শার্ট ছিল এবং আমার বাবার জার্সিও। আমি স্বপ্নেও কল্পনা করিনি একদিন ইল্যান্ড রোডে খেলবো এবং লিডসের বিপক্ষে ম্যানসিটির হয়ে গোল করবো।’