ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) ছাড়াই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। গত বছরের মতো এবারও বিপিএলের ব্যবহার করা হবে এডিশনাল ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (এডিআরএস)। গত আসরে ৮ ম্যাচ পর ব্যবহার করা হয়েছিল এডিআরএস। এবার শুরু থেকে পাওয়া যাবে এই প্রযুক্তি। এই খবর নিশ্চিত করেছেন বিসিবির বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক শেষে ইসমাইল বলেন, ‘এই সময় হক-আই আর ভার্চুয়াল-আই প্রযুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণত অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড থেকে ভার্চুয়াল-আই আনা হয়। আর হক-আই আনলে তাদের আগে নিশ্চিত করতে হয়। সে কারণে পুরো ডিআরএস এলিমিনেটর ও ফাইনাল ম্যাচে পাবো।’
ডিআরএসের মতো প্রযুক্তি না থাকায় গতবার ভুগেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যদিও শেষ পর্যন্ত তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও ডিআরএস না থাকায় হতাশ কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সাালাউদ্দিন, ‘এত বড় একটা টুর্নামেন্ট, ডিআরএস না থাকলে আমাদের তো মন খারাপ হবেই। যে কোনও একটা সিদ্ধান্তের জন্য হয়তো আপনি পুরো টুর্নামেন্টটা হেরে যেতে পারেন। আমার মনে হয় আপনারা যেহেতু অনেক সময় পেয়েছিলেন, এখন তো বোর্ডের এখন অনেক টাকা... আমার মনে হয় এসব টুর্নামেন্টে ডিআরএস থাকা উচিত। কারণ বোর্ডের তো টাকার অভাব নেই। আমার কাছে মনে হয় এত বড় একটা টুর্নামেন্টে অবশ্যই ডিআরএস থাকা উচিত।’
বিপিএলের গত আসরে ডিআরএস শেষ চার ম্যাচের জন্য পাওয়া গিয়েছিল। ডিআরএস প্রযুক্তি আসার আগে মূলত এডিআরএস ব্যবহার করা হতো। এখানে শেডেড এরিয়ার মাধ্যমে দেখানো হবে বল কোথায় পিচ করে এবং বলের ইমপ্যাক্ট কোথায় ছিল। এছাড়া বল উইকেটে হিট করেছে কি না সেটা দেখতে স্বচ্ছ চিত্র ধারণ করা হবে। আলট্রা এজ ও স্নিকোমিটার না থাকায় স্টাম্প মাইকের আওয়াজ এবং টিভি রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার মূলত এই সিদ্ধান্ত দেবেন। অনফিল্ড আম্পায়ারের পাশাপাশি তারও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
এখানেও সর্বোচ্চ দুটি অসফল রিভিউ নিতে পারবে প্রতি দল। এজন্য সময় পাবে ১৫ সেকেন্ড। তবে ডিআরএসের মতো এখানে সব কিছুর চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। শুধুমাত্র এলবিডাব্লিউ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই রিভিউ নেওয়া যাবে।
এদিকে ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বিপিএলের প্রাইজমানিও বাড়ছে। এবার চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২ কোটি টাকা। গতবার ছিল ১ কোটি টাকা। রানার্সআপ পাবে অর্ধেক, মানে ১ কোটি টাকা, যেটার প্রাইজমানি গতবার ছিল ৫০ লাখ। এছাড়া ম্যান অব সিরিজ ১০ লাখ, সেরা বোলার, ব্যাটসম্যানকেও পুরস্কৃত করবে বিপিএল। সব মিলিয়ে ৪ কোটি টাকার প্রাইজমানি ধরা হয়েছে।