খেলাধুলা

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড: সংখ্যায় সংখ্যায় পরিসংখ্যান

সাত বছর পর আবার দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মাঠে নামার অপেক্ষায় বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর আবার বাংলাদেশে এসেছে ইংল্যান্ড। সেবার দুই টেস্টের সঙ্গে তিন টি-টোয়েন্টি খেলেছিল তারা। এবার তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে আবার আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ। বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে গেলও দুই দলই চাইবে প্রতি ১০ পয়েন্ট নিশ্চিত করে নিজেদের আরও উপরে নিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে। পহেলা মার্চ মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামছে দুই দল।

আজ ইংল্যান্ডের ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। বাংলাদেশ পুরোদমেই ঝালিয়ে নিয়েছে নিজেদের। মাঠে নামতে নিজেদের প্রস্তুত করছে দুই দল। মাঠের বাইরে তাদের পরিসংখ্যানে চোখ বুলানো যাক—

২১: দুই দল এর আগে ২১ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। যেখানে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল ৪টিতে। বাকি ১৭টিতেই জয় ইংল্যান্ডের।

০: ইংল্যান্ড বাদে সবগুলো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ কোনো না কোনো সংস্করণে সিরিজ জিতেছে। এবার ইংল্যান্ডকে হারালে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের বৃত্ত ভরাট হবে।

১০: ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে ১০ ম্যাচে আতিথেয়তা দিয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিতেছে ২টি। হেরেছে বাকি ৮টিতে।

৩৯১: দুই দলের মুখোমুখিতে সর্বোচ্চ দলীয় রান ৩৯১। ২০০৫ সালে নটিংহ্যামে ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে ৩৯১ রান করেছিল। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ওভালে সর্বোচ্চ ৩০৫ রান করেছিল।

১৩৪: মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বনিম্ন দলীয় রান ১৩৪। ২০০৩ সালে ঢাকায় ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন রান ২০৪। ২০১৬ সালে ওই রানে অলআউট হয়েছিলেন বাটলাররা।

১৬৮: ইংল্যান্ডের রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় ১৬৮ রানে। ২০০৫ সালে ৩৯২ রান তাড়ায় বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল ১৬৮ রানে। এছাড়া উইকেটের হিসেবে ইংল্যান্ড একবারই বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে। ২০০৫ সালে ওভালে তারা ১৯১ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয়।

৬১০: দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। ৮ ম্যাচে ৬১০ রান করেছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে তামিম ১৪ ইনিংসে করেছেন ৪৮৮ রান।

১৫৪: অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের ১৫৪ রান দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান। ২০১০ সালে বার্মিংহ্যামে ১৫৪ রান করেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তামিমের ১২৮ রান সর্বোচ্চ। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওই রান করেছিলেন তামিম।

২: দুই দলের ক্রিকেটার মধ্যে দুটি করে সেঞ্চুরি আছে স্ট্রাউস ও তামিমের।

১৭: মুখোমুখি লড়াইয়ে রানে ইংলিশ ক্রিকেটাররা এগিয়ে থাকলেও বোলিং সাফল্যে বাংলাদেশ এগিয়ে। মাশরাফি বিন মুর্তজা ১৪ ইনিংসে ১৭ উইকেট নিয়ে সবার উপরে। এরপর ১৪ উইকেট নিয়ে সাকিব দুইয়ে।

৬: সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা অবশ্য ইংল্যান্ডেরই দখলে। পল কলিংউড ২০০৫ সালে ৩১ রানে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন।

১৯২*: মার্কোস ট্রেসকথিক ও অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের অপরাজিত ১৯২ রান জুটির সর্বোচ্চ। উদ্বোধনী জুটিতে তারা এ রান করেছিলেন ২০০৫ সালে।

২৫০: এছাড়া সব মিলিয়ে ২৫০ রান জুটির সর্বোচ্চ। ২০১০ সালে বার্মিংহ্যামে স্ট্রাউস ও জনাথন ট্রট দ্বিতীয় উইকেটে এ রান করেছিলেন।

১৪: ১৪ ম্যাচ নিয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলেছেন পল কলিংউড, মাশরাফি, সাকিব ও তামিম। এই সিরিজ দিয়ে তামিম ও সাকিব নিশ্চিতভাবে এগিয়ে যাবেন।

৯: অধিনায়ক হসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি। ৯ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের যে চারটি জয় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটিই এসেছে তার হাত ধরে।