ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২৬ মিনিট। বিসিবি সাউথ জোনের জয় বিলম্বিত করা আবু হায়দার রনি বেশ মারমুখী। ৭৭ রান তুলে একাই দলকে টানছিলেন।
কিন্তু দিনটা যে ছিল খালেদ আহমেদের। ডানহাতি পেসারের হাফভলি বল উড়াতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন ৭৭ রান করা রনি। খালেদ আহমেদের ফাইফারে নিশ্চিত হয়ে যায় সাউথ জোনের বিসিএলের ষষ্ঠ শিরোপা।
কক্সবাজার স্টেডিয়ামে নিজের পঞ্চম ফাইফারের স্বাদ নিয়ে খালেদ তখন সিজদাহতে ব্যস্ত, অন্যদিকে উইকেটের চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সাউথ জোনের ফিল্ডাররা দৌড়ে স্টাম্প তুলে নিয়ে উৎসবে মত্ত। ইনিংস ও ৩৩ রানের জয়ে সেন্ট্রাল জোনকে হারিয়ে সাউথ জোন পেল ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বড় ধৈর্ঘ্যের ক্রিকেটের শিরোপা।
ফাইনাল জিততে মঙ্গলবার সেন্ট্রাল জোনের ৭ উইকেট লাগতো সাউথ জোনের। অন্যদিকে মিথুন ৪০ ও জাকের ১৯ রানে দিন শুরু করেছিলেন। কিন্তু দিনের প্রথম ঘণ্টায় দুজনই হতাশ করে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন মোসাদ্দেক হোসেন ও আরিফুল হক। ৭৭ থেকে ৯০ রানে যেতে ৪ উইকেট হারায় সেন্ট্রাল জোন।
মিথুন ৪৯, জাকের ২৩ রানে আউট হন। মোসাদ্দেক মারেন গোল্ডেন ডাক। এছাড়া আরিফুল হক ৯ রানে আউট হন। সেখান থেকে শরীফউল্লাহকে নিয়ে জুটি বাঁধেন রনি। দুজন মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থাকেন। দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আগলে রাখেন উইকেট। ১২১ রানের জুটিতে মনে হচ্ছিল ভালো কিছু করবে সেন্ট্রাল জোন।
কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক পরই সব ওলটপালট। শরীফউল্লাহকে ৬৩ রানে এলবিডব্লিউ করেন খালেদ এবং নাজমুল অপু ফেরান হাসান মুরাদকে।
শেষ উইকেটে একা হয়ে যান সেঞ্চুরির পথে আগাতে থাকা রনি। কিন্তু বেশিক্ষণ লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি। ১২৭ বলে ৭৭ রানে আউট হলে সেন্ট্রাল জোন গুটিয়ে যায় ২৩৭ রানে।
প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানের পর এবার কেবল ৭ রান বেশি করে তারা। অন্যদিকে বিসিবি সাউথ জোন প্রথম ইনিংসেই করে ৫০০ রান। খালেদ ৭৪ রানে পেয়েছেন ৫ উইকেট। এছাড়া নাজমুল ৩টি ও মঈন ২ উইকেট পেয়েছেন।
ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ২৪৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলা সাদমান ইসলাম।
সাউথ জোনের এটি ষষ্ঠ শিরোপা। এর আগে দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম আসরে শিরোপা জিতেছিল তারা।