বাংলাদেশ: ১৫৮/২ (২০ ওভার)
ইংল্যান্ড: ১৪২/৬ (২০ ওভার)
ফল: বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: লিটন দাশ।
প্রথম সিরিজেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে ১৬ রানে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। এই প্রথম কোনো বড় দলকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে লাল সবুজের জার্সিধারীরা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬ ও দ্বিতীয় ম্যাচ ৪ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারে উইকেট হারানোর পর মালান-বাটলার জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। মালানকে (৫৩) ফিরিয়ে ৯৫ রানের জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। পরের বলে দুর্দান্ত থ্রোতে বাটলারকে (৩১) সাজঘরে পাঠান মিরাজ। মঈন-ডাকেট খেলায় ফেরার আভাস দিলেও তাসকিন দুজনকে ফেরান একই ওভারে। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১৯তম ওভারে সাকিব কারানকে ফিরিয়ে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। শেষ ওভারে ২৭ রান প্রয়োজন হয়, ইংল্যান্ড নেয় ১০ রান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশ জয় ছিনিয়ে নেয় সাকিবের দল। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন তাসকিন।
তাসকিনের জোড়া আঘাতের পর সাকিবের ঘূর্ণি জাদু
তাসকিনের জোড়া আঘাতের পর সাকিবের ঘূর্ণি জাদুতে পরাস্ত স্যাম কারান। কাট করতে চেয়েছিলেন কারান, টাইমিং ঠিকমতো হয়নি। পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন তানভীরের হাতে। ৪ রানে ফেরেন কারান।
তাসকিনের জোড়া আঘাত
১৭তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত করলেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় বলে ফেরান মঈন আলীকে। স্কয়ার লেগে মিডউইকেটে ক্যাচ দেন মিরাজের হাতে। ৯ রান করেন তিনি। এরপর শেষ বলে বেন ডাকেটের উইকেট উপড়ে ফেলেন তাসকিন। ডাকেট ১১ রানে ফেরেন।
মোস্তাফিজের উইকেটের সেঞ্চুরি, মিরাজের থ্রোতে সাজঘরে বাটলার:
পরের বলেই আবার উইকেট! কাভারে ঠেলে দিয়ে দৌড় দেন নতুন ব্যাটসম্যান বেন ডাকেট। অপরপ্রান্তে থাকা বাটলারও সাড়া দিয়ে দৌড় শুরু করেছিলেন। কিন্তু ফিল্ডার মিরাজের দ্রুততার সঙ্গে পেরে ওঠেননি। বল ধরেই সরাসরি থ্রোতে ভেঙে দেন উইকেট। ক্রিজের দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা চাপে ইংল্যান্ড। বাটলার ৩১ বলে ৪০ রান করেন। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান ডাকেট-মঈন।
মোস্তাফিজের উইকেটের সেঞ্চুরি
দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে মোস্তাফিজ টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেন। ৮১ ম্যাচে এই উইকেটগুলো নেন তিনি। তার আউটসউইং করা বাউন্স বলে পুল করতে চেয়েছিলেন মালান, বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছনে। তার আউটে ভাঙে ৭৬ বলে ৯৫ রানের জুটি। ৬টি চার ও ২টি ছয়ে ৪৭ বলে ৫৩ রান করেন মালান।
শুরুর ধাক্কা সামলে পাওয়ার প্লেতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড
ইনিংসের প্রথম ওভারে ১ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। পরের ওভারে রিভিউতে জীবন পান মালান। শেষ পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লে কাটিয়ে দিয়েছে সফরকারীরা। পাওয়ার প্লেতে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৭ রান। ব্যাটিং করছেন মালান-বাটলার। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত ৫৭ বলে আসে ৬৭ রান।
রিভিউতে মালানের রক্ষা
দ্বিতীয় ওভারে রিভিউ নিয় জীবন পান মালান। তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউতে সাড়া দেন আম্পায়ার। পরে দেখা যায় বল মালানের পায়ে লাগার আগে ব্যাট স্পর্শ করে। ৬ রানে জীবন পান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ক্যারিয়ারের প্রথম বলে চার, তৃতীয় বলে উইকেট
ক্যারিয়ারের প্রথম বলে চার, তৃতীয় বলে উইকেট। তানভীর ইসলামের প্রথম বলে ডিপ মিড উইকেটে চার মারেন ডেভিড মালান। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সল্টকে স্ট্রাইক দেন মালান। সল্ট এসেই প্রথম বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন। অধিনায়ক সাকিব তার উপর আস্থা রেখে প্রথম ওভার দেন, তানভীর প্রতিদান দিতে ভুল করেননি।বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এই ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তৃতীয় বলে উইকেট পেলেন। বাংলাদেশের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত।
শেষ দিকে ধীরগতির ব্যাটিং, ১৫৮ রানে থামলো বাংলাদেশ
শেষ চার ওভারে মাত্র ২২ রান নিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ হাতে ছিল ৮ উইকেট। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২ উইকেটে ১৫৮ রানে। যেভাবে মাঝে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ, দুইশও অসম্ভব ছিল না। ১৭তম ওভারে রানের গতি কমে যায়। জর্ডানের করা এই ওভারে বাংলাদেশ নেয় মাত্র ৩ রান। হারায় ১ উইকেট। পরের ওভারগুলোতেও এই ধারা চলতে থাকে। লিটনের আউটের পর সাকিব আসেন ক্রিজে। ৬ বলে ৪ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অপর প্রান্তে থাকা থিতু হওয়া শান্তও সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন লিটন। এ ছাড়া ২৪ রান আসে রনির ব্যাট থেকে। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ-জর্ডান।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে সাজঘরে লিটন
জর্ডানের শর্ট বলে ডিপ মিডউইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। টাইমিং ঠিক ছিল না। সহজেই ক্যাচ ধরেন ফিল সল্ট। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ বলে ৭৩ রান। ১০টি চার ও ১টি ছয় হাঁকিয়েছেন তিনি। এর আগে তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ছিল ৬৯ রান। ডেথ ওভারে বাংলাদেশ সুবিধা করতে পারেনি। ১৭-১৮ ওভারে আসে মাত্র ৮ রান।
ফিফটির পর লিটন ঝড়
ফিফটির পর লিটন দাশ ধরা দিয়েছেন বিধ্বংসী রূপে। আর্চারকে টানা চার ছয়ের পর আদিল রশিদকে মিড অফে হাঁকিয়েছেন বাউন্ডারি। ফিফটির পর ১০ বলে ২১ রান করেন এই ডানহাতি ওপেনার। টি-টোয়েন্টিতে তিন ম্যাচ পর ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। এবার ইংল্যান্ড সিরিজে এটি প্রথম ফিফটি। ওয়ানডে সিরিজ খুব বাজে গিয়েছিল তার। অন্যপাশে শান্তও খুলছেন হাতখুলে। দুজনের ফিফটির জুটি এখন সেঞ্চুরির পথে।
লিটনের ফিফটিতে শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ
লিটন কুমার তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ৪১ বলে ৮ চারে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। তার ফিফটিতে ভর করে বাংলাদেশ ১৩ ওভারেই ১০৭ রান তুলেছে। লিটন ৫১ ও শান্ত ২৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
লিটনের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ:
উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা দারুণ করেছিলেন লিটন কুমার দাস ও রনি তালুকদার। ৫৫ রানের মাথায় রনি ফিরলেও লিটন টানছেন দলকে। তার সঙ্গে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন ৪০ ও শান্ত ৫ রানে অপরাজিত আছেন।
দারুণ শুরুর পর ফিরলেন রনি:
দারুণ খেলছিলেন রনি। পাওয়ার প্লেতে আদিল রশিদের উইকেট কাটিয়ে দিয়েছেন। এরপরেই বাধে বিপত্তি। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে রিভার্সসুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় হয়। রশিদের হাতেই ক্যাচ তুলে দেন। তিন চারে ২২ বলে ২৪ রান করেন এই ওপেনার। তিন ম্যাচে রনি দুবার রশিদের স্পিনে আরেকবার রেহানের বলে আউট হয়েছেন।
পাওয়ার প্লেতে ৪৬/০
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৬ রান তুলেছে। সবশেষ গত ট-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এমনটা হয়েছিল। দুই প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করছেন রনি-লিটন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মিড অনে আর্চারকে দারুণ চারের পর ক্যাচ তুলেছিলেন রনি। বলে অনেক উঁচুতে ওঠে, ডিপ শর্ট থার্ডে থাকা ফিল্ডার রেহান তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন।
রনি-লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশের দারুণ শুরু
নিজের প্রথম বলেই স্যাম কারানকে ফ্লিক করে রনির দারুণ চারে শুরু। এরপর আদিল রশিদের করা তৃতীয় ওভার ছাড়া প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি দেখেছে বাংলাদেশ। লিটন দাস শুরুতে থিতু হওয়ার চেষ্টা করে এখন হাত খুলছেন ধীরে ধীরে। রনি শুরু থেকেই ব্যাট করছেন আগ্রাসী মেজাজে।
তানভীরের অভিষেক, একাদশে শামীম, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাট করবে। দুই সিরিজে প্রথমবার টস হেরেছে বাংলাদেশ। একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে নামছে স্বাগতিকরা। অভিষেক হচ্ছে তানভীর ইসলামের আর একাদশে ফিরেছেন শামীম পাটোয়ারী।
বাংলাদেশ একদাশে যারা
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাশ, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
অপরিবর্তিত ইংল্যান্ড একাদশ
জস বাটলার ( অধিনায়ক), ফিল সল্ট, ডেবিড মালান, বেন ডাকেট, মঈন আলী, স্যাম কারান, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, ক্রিস জর্ডান, ক্রিস ওকস ও রেহান আহমেদ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবার তানভীরের অভিষেক
নির্বাচক হাবিবুল বাশার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সিরিজের শেষ ম্যাচে বেঞ্চ পরীক্ষার। দুপুরে মাঠে এসেই দেখা যায় সেন্টার উইকেটে বোলিং করছেন স্পিনার তানভীর ইসলাম। বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা তানভীরের অভিষেক হচ্ছে আজ। চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই অফস্পিনার। টসের ২০ মিনিট আগে তাকে ক্যাপ পরিয়ে দেন ক্রিকেট অপারেশন্সের ম্যানেজার শাহরিয়ার নফিস। টি-টোয়েন্টিতে ৭৯তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটেছে তানভীরের। এর আগে এই সিরিজে বিপিএলে দুর্দান্ত খেলা তৌহিদ হৃদয়ের অভিষেক হয়েছে।
সেঞ্চুরি থেকে ১ উইকেট দূরে মোস্তাফিজ
৮০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯৯ উইকেট মোশ্তাফিজুর রহমানের। আর ১ উইকেট নিলেই হবে উইকেটের সেঞ্চুরি। ওভার প্রতি ৭.৬১ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। সর্বোচ্চ ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট।
লক্ষ্য এবার হোয়াইটওয়াশ
লাল সবুজের দলের সামনে সুবর্ণ সুযোগ প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার। সিরজের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের ৬ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে সাকিব আল হাসানের দল। আজ জিতলেই ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ।বড় দলের বিপক্ষে প্রথমবার
বাংলাদেশ এর আগে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে। অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি। এবার ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারলে আক্ষেপ কিছুটা ঘুচবে।
সাকিবদের ব্র্যাড অব ক্রিকেটে তৃপ্তির হাসি
দুই দলের জন্য সমান সুবিধা; এমন উইকেটে ইংলিশদের ধরাশয়ী করে কর্তাদের ঠোঁটে পরিতৃপ্তির হাসি। নির্বাচক হাবিবুল বাশার সোমবার সাংবাদিকদের সিরিজ জয়ের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আড়াল করতে পারেননি উচ্ছ্বাস। বাংলাদেশ যেভাবে কর্তৃত্ব দেখিয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে সেই ব্র্যান্ডের ক্রিকেটই যেন এতদিন চাওয়া ছিল সাকিবদের কাছে।
বাশার বলেন, ‘(সিরিজ জেতায়) অবশ্যই খুব ভালো লেগেছে। কয়েকটা কারণ তো অবশ্যই ছিল। আমরা যেই ব্র্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে চাচ্ছি, তার কিছুটা হলেও এই সিরিজে খেলতে পেরেছি। অনেক দিন ধরে চিন্তাভাবনা করছি, চেষ্টা করছিলাম। সবসময় হচ্ছিল না।’
‘সাফল্য যে আগে ছিল না, তা নয়। তবে আমরা যেভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি, এই সিরিজে কিছুটা হলেও পেরেছি। সিরিজের ফল ২-০ হয়ে গেছে। আমরা সিরিজ জিতে গেছি। তবে যেটা বেশি তৃপ্তিদায়ক ছিল, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যেভাবে আমরা খেলতে চাই, তার কিছুটা হলেও এই সিরিজে এখন পর্যন্ত আমরা প্রকাশ করতে পেরেছি’-আরও যোগ করেন বাশার।