ইংল্যান্ড সিরিজে তাইজুল ইসলামকে দলভুক্ত করার পর কম নাটক হয়নি। নির্বাচকরা বলেছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের চাওয়ায় তাইজুলকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে রঙিণ পোশাকে।
অন্যদিকে স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ জানান, নির্বাচকদের নজরে তাইজুল সেরা বলে তাকে নেওয়া হয়েছে। বাঁহাতি স্পিনারকে নিয়ে দুই পক্ষ থেকে দুই রকম মন্তব্য পাওয়া গেলেও মাঠের ক্রিকেটে সেই প্রভাব পড়েনি একটুও। তাইজুল নিজের মতো করে পারফর্ম করে আলো ছড়িয়েছেন।
সিরিজে ৩ ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট পেয়েছেন। রান একটু বেশি দিলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট আদায় করেছেন ঠিকই। তাই তার দলে অন্তভূক্তি নিয়ে সিরিজ শেষে আর কোনো হইহুল্লোড় হয়নি। এবার আয়ারল্যান্ড সিরিজে সাকিব ও মিরাজের সঙ্গে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে যুক্ত করা হয় নাসুম আহমেদকে। বাদ পড়েন আবার তাইজুল।
নাসুম নিজের প্রথম ম্যাচেই রাখেন সামর্থ্যের ছাপ। ৪৩ রানে ১ উইকেট নিয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও নাসুম ছিলেন দারুণ। এই দুজনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বকাপের আগে স্কোয়াডের গভীরতা বাড়াতে রোটেশন করে খেলোয়াড়দের খেলিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাইজুলের পর নাসুমও নিশ্চিতভাবে লেটার মার্কস পাবেন। কিন্তু কোচের কাকে মনে ধরেছে?
জানতে চাওয়া হলেও পাশ কাটিয়ে গেছেন শ্রীলঙ্কান কোচ। জানালেন, বিশ্বকাপের জন্য দুজনই আছেন বিবেচনায়। তার ভাষ্য,‘(তাইজুল ও নাসুম) দুজনই পরিকল্পনায় আছে। সবশেষ সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাইজুল খুব ভালো করেছে। এখন আমরা নাসুমকে সুযোগ দিচ্ছি। বিশ্বকাপের আগে আরও বেশ কিছু সুযোগ আছে আমাদের। আমরা সেই সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আমাদের স্কোয়াডের বিকল্প বাড়াতে চাই।’
টেস্ট ক্রিকেটে তাইজুলের বিকল্প নেই কোনো। সাকিবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পারফর্ম করে লাল বলে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছেন। হয়েছেন দলের বোলিং স্তম্ভ। কিন্তু সাদা বলে তার পায়ের নিচের জমিন শক্ত হয়নি। অনেকটাই প্রথাগত বাঁহাতি স্পিনার রাজশাহীর এ তারকা। অন্যদিকে নাসুম আধুনিক যুগের অস্ত্র নিয়ে সমৃদ্ধশালী। বৈচিত্র্য বাড়িয়ে তাইজুল এখন ঠিকই প্রতিযোগিতা করছেন নাসুমের সঙ্গে। তাতে দলের লাভ হচ্ছে। ২০২৩ বিশ্বকাপে দুজনের সুযোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সাকিব, মিরাজের সঙ্গে একজনের সুযোগ হতে পারে। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেম আরো ১৪টি ম্যাচ খেলবে। কার বিশ্বকাপের ভাগ্য খুলবে সেটাই দেখার।