খেলাধুলা

যে লক্ষ‌্যের পথে ছুটছেন সাকিব

নতুন বছরে পা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন সাকিব আল হাসান। গত ৩০ ডিসেম্বরের ঘটনা। এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেছিলেন, ‘২০২৩ সালটা আমি মনে করি আমাদের জন্য, আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বছর হবে। এটা আমি বিশ্বাস করি, মনেপ্রাণেই বিশ্বাস করি এমনটা হবে। আর এটা শুধু একটা ফরম্যাটে না, তিনটা ফরম্যাটেই।’ 

সাকিব যে লক্ষ‌্যে নতুন বছরে পা রেখেছিলেন সেই পথেই ছুটছেন। শুধু ব‌্যক্তিগত সাফল‌্য নয়, দলগত সাফল‌্যেও উদ্ভাসিত। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ফরম‌্যাটেই মিলছে সাফল‌্যধারা।  

এ বছর এখন পর্যন্ত আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার শেষ হওয়া সেই ম‌্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছে সাকিবের দল। এর আগে ইংল‌্যান্ড ও আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত পরিসরে অসাধারণ সাফল‌্য স্বাগতিকদের। ইংল‌্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে হারের পর তৃতীয় ম‌্যাচে জেতে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে তাদেরকে ৩-০ ব‌্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে। 

আয়ারল‌্যান্ডকে ২-০ ব‌্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হারানোর পর তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে ২-১ ব‌্যবধানে। শুধু ম‌্যাচ জেতায় নয়, খেলার ধরনেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের নতুন পথ চলা শুরু হয়েছে এ সময়ে। ব‌্যর্থতার ভয় না করে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেওয়া শুরু করেছে বর্তমান টিম ম‌্যানেজমেন্ট। তাতে রনি তালুকদার, শামীম হোসেন পাটোয়ারীদের পায়ের নিজের মাটি শক্ত হয়েছে। এছাড়া পেস বোলিং ইউনিট থেকে আসছে ধারাবাহিক সাফল‌্য। স্পিন বরাবরই বাংলাদেশের শক্তির জায়গা। আর ব‌্যাটসম‌্যানরা এখন নির্ভীক, ভয়ডরহীন। 

সব মিলিয়ে বছরের প্রথম চার মাসে বাংলাদেশ যা প্রত‌্যাশা করছিল তাই পেয়েছে। নিজেদের পরিকল্পনায় সাকিব সফল বোঝাই যাচ্ছে তার কথায়, ‘আমি তো আগেই বলছিলাম ২০২৩ সাল আমাদের খুব ভালো যাবে।’

সাফল‌্যের এ ধারাবাহিকতা সাকিব ধরে রাখতে চান বছরের পরবর্তী মাসগুলোতেও, ‘যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ বছর। বিশ্বকাপ আছে, এশিয়া কাপ আছে। অবশ্যই চাইবো পরের ছয় মাস যেন ভালোভাবে খেলতে পারি। প্রথম ছয় মাসের চার মাস খুব ভালো গেছে। অর্ধেক বছর আমরা ভালো করেছি, আশা করি। যেহেতু আমরা বেশিরভাগ ম্যাচ ওয়ানডে খেলবো...আমরা মনে করি এটা এমন এক ফরম্যাট যেটায় আমরা মনে করি ভালো দল।’

নিজেদের ভালো করার পেছনে স্কিলের সঙ্গে মানসিক উন্নতি হওয়ার কথা বললেন সাকিব, ‘মানসিক উন্নতিটা আমার মনে হয় সবথেকে বড় উন্নতি হয়েছে। যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ ম্যাচ খেলেছি, তখনই আমরা আলোচনা করেছি যে, আসলে আমরা হয়তো এই বিশ্বকাপের আগে অবধি নিজেদের অনেক ছোট দল মনে করতাম। আসলে আমরা ছোট দল ছিলাম না। আমরা যদি হয়তো বিশ্বাস রেখে যেতাম, হয়তো সেমিফাইনাল খেলতাম।’ 

‘ওই জায়গায় আমাদের ল্যাকিংস ছিল, এরপর থেকে আমাদের চিন্তা ছিল ওই জায়গায় বদলটা আনবো। বিশেষত টি-টোয়েন্টি দলে যারা ছিল তাদের ভেতরে মানসিক এই পরিবর্তন সবার আছে।’ - যোগ করেন সাকিব।