রীতিমত আফসোসে পোড়ার মতো ঘটনাই! আইপিএলে সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে যখন চলছিল জল্পনা কল্পনা তখন লিটন দাসের কপাল খুলে গেল। কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবির ভরসা রাখল বাংলাদেশের মারকুটে ব্যাটসম্যানের ওপর।
কিন্তু নিজের অভিষেক ম্যাচে বড্ড বিবর্ণ লিটন। ব্যাটিংয়ে রান পাননি। কিপিংয়ে স্রেফ হতাশ করেছেন। তাতে প্রশ্ন উঠছে, আরেকটি সুযোগ কী পাবেন লিটন? বাজি ধরার মতোই প্রশ্ন। যেখানে পক্ষে বিপক্ষে রয়েছে হাজারো মত, প্রতিক্রিয়া।
তবে ইতিহাস বলছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা আইপিএলের অভিষেকে ফ্লপ ছিলেন তারা কেউই পরবর্তীতে সুযোগ পাননি। তালিকাটা বেশ লম্বাও। ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে আইপিএল অভিষেক লিটনের। এর আগে আব্দুর রাজ্জাক, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান খেলেছেন। তামিম স্কোয়াডে থাকলেও খেলার সুযোগ পাননি।
কেবল সাকিব ও মোস্তাফিজ ছাড়া অভিষিক্ত বাকি সবার আইপিএল ক্যারিয়ার থেমেছে এক ম্যাচেই। লিটনের ভাগ্যে কী লিখা আছে তা সময়ই বলে দেবে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাকে একাদশে দেখতে মুখিয়ে ছিল ক্রিকেটপ্রেমিরা। দারুণ ফর্মে থাকায় তাকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বি। বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাকে একাদশে রেখে মাঠে নেমেছিল কলকাতা। কিন্তু নিজের অভিষেক ম্যাচে বিবর্ণ লিটন।
৪ বলে ৪ রান করে ফেরেন বাংলাদেশের এ ওপেনার। পরবর্তীতে দুটি সহজতম স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেন। যেগুলো ঠিকঠাক মতো করতে পারলে ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। কিন্তু লিটন নিজের অভিষেক ম্যাচে সেই চাপ নিতে পারেননি। আলগা শটে আউট হওয়ার পর স্টাম্পিং মিসে বুঝিয়ে দিয়েছেন বেশ চাপ নিয়ে নিয়েছিলেন।
লিটনের ব্যর্থতার রাতে হেরেছে কলকাতাও। কলকাতাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এবারের আইপিএলে প্রথম জয় পেয়েছে ডেভিড ওয়ার্নার-মোস্তাফিজুর রহমানদের দিল্লি। যদিও মোস্তাফিজকে গতকাল মাঠে নামায়নি দিল্লি। দুই ম্যাচে ভালো না করায় জায়গা হারাতে হয় মোস্তাফিজকে।
লিটনের ভবিষ্যৎ কী মোস্তাফিজের মতোই হবে নাকি নিজেকে প্রমাণের আরেকটি সুযোগ পাবেন? প্রশ্নটা সময়ের কাছেই তোলা থাক। ২৩ এপ্রিল ইডেনে তাদের প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস।