অবশেষে পাকিস্তানের দেওয়া হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। সেটা মেনে নিয়ে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
মডেল অনুযায়ী ভারতের ম্যাচগুলো হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। বাকি ম্যাচগুলো হবে পাকিস্তানের মাটিতে। অর্থাৎ ২০২৩ এশিয়া কাপ আয়োজন করবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এসিসি।
বিবৃতিতে এসিসি জানায়, হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী এশিয়া কাপের ১৩ ম্যাচের চারটি ম্যাচ হবে পাকিস্তানে, বাকি ৯টি হবে শ্রীলঙ্কায়। অর্থাৎ পাকিস্তানের ম্যাচগুলো হবে সেখানে। বাকি ম্যাচগুলো হবে শ্রীলঙ্কায়। এবারের আসরে অংশ নিবে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল।
দলগুলো দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দুই গ্রুপ থেকে সেরা দুইটি করো মোট চারটি দল যাবে সুপার ফোরে। সুপারের ফোরের চারটি দলের মধ্য থেকে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা দুটি দল খেলবে ফাইনাল।
২০০৮ সালের পর থেকে রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে পাকিস্তান সফর করছে না ভারত। এমনকি খেলছে না দ্বিপাক্ষিক সিরিজও। সবশেষ তারা ২০১২ সালে খেলেছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এরপর থেকে দল দুটি কেবল এসিসি ও আইসিসির ইভেন্টে একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে।
২০২৩ এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান হওয়ায় ভারত সেখানে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি। তখন পাকিস্তান হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দেয়। অর্থাৎ ভারতের ম্যাচগুলো হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করার। আর বাকি ম্যাচগুলো হবে পাকিস্তানের মাটিতে।
এই প্রস্তাবও অবশ্য ভারত মেনে নিতে পারছিল না। পাছে পাকিস্তান আবার বিশ্বকাপের সময় একই সুবিধা চেয়ে বসে। তাতে করে ২০২৩ এশিয়া কাপ নিয়ে এক প্রকার অচলবস্থা তৈরি হয়। অবশেষে হাইব্রিড মডেল এসিসি অনুমতি দেওয়ায় অচলবস্থার অবসান হলো।
কিন্তু ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না যাওয়ায় তারাও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যেতে বেকে বসতে পারে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করা লাগতে পারে আইসিসির।
অবশ্য জানা গেছে, পাকিস্তান ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে।