বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। যে খেলা আর্শীবাদ হয়ে আসল আফগানিস্তানের জন্য। অভিশাপ হলো স্বাগতিক বাংলাদেশের। অবশ্য বৃষ্টির বাগড়ায় না পড়লে বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে জিততে পারত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়।
বুধবার চট্টগ্রামে প্রথম দুই দফায় প্রায় ২ ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পরও বাংলাদেশ ছিল ব্যাকফুটে। তৃতীয়বার যখন বৃষ্টি ঝরল তখন বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে এগিয়ে আফগানিস্তান। ব্যাস, জয়ের জন্য এই ব্যবধানই যথেষ্ট ছিল। মানে দাঁড়াচ্ছে, গতকাল গোটা ম্যাচেই বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল। আধিপত্য ছিল কেবল আফগানিস্তানের। তাইতো জয়ের মালা তাদেরই গলায়।
বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ম্যাচ হারের জন্য নিজেদেরকেই দায়ী করেছেন। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তামিম বলেছেন, ‘আমি মনে করি না আমাদের অন্য কিছুর উপর দোষ চাপানো ঠিক হবে। আমরা ভালো শুরু পেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা পথ ভুলেছি। দুইবার পরপর উইকেট হারিয়েছি। এমন না যে অবিশ্বাস্য কোনো বল বা খেলতে না পারার কোনো বল হয়েছিল।’
৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে বাংলাদেশ কেবল ১৬৯ রান করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন রান পুঁজি পেয়ে জয়ের চিন্তা করা কঠিন।বোলিংয়েও বাংলাদেশ সুবিধা করতে পারেনি। প্রথম ১০ ওভারে ভাঙতে পারেনি আফগানদের উদ্বোধনী জুটি। এরপর বৃষ্টি আইনে তাদের লক্ষ্য আরো সহজ হয়ে গেলে মুখে চওড়া হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে অতিথিরা।
‘১৬৯ রানের মতো আমরা করেছিলাম যা পর্যাপ্ত ছিল না একদমই। এই উইকেট কিছুটা ট্রিকি ছিল। আমরা যদি ২৫০-২৬০ রানের মতো করতে পারতাম তাহলে ভালো হতো।’– যোগ করেন তামিম।
বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিংয়ের দিনে কেবল মাথা তুলে লড়াই করেছেন তাওহিদ হৃদয়। আক্রমণাত্মক খেলতে পারেননি। তবে নিজের ছন্দ ঠিকই ধরে রেখেছেন। শেষ কয়েক মাসে যে ধারাবাহিকতা ডানহাতি ব্যাটসম্যান দেখিয়েছেন তা ফুটে উঠে গতকালের ব্যাটিংয়েও।
৬৭ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। সঙ্গীর অভাবে ব্যাটিংয়ের গতি কমিয়ে আনতে বাধ্য হন। নয়তো মোহাম্মদ নবীকে অনড্রাইভে চার মেরে যেভাবে আক্রমণ চালানো শুরু করেছিলেন মনে হচ্ছিল বড় কিছু তার ব্যাট থেকে আসতে যাচ্ছে। কিন্তু দলের সামগ্রিক ব্যর্থতার দিনে তাওহিদকে থেমে যেতে হয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করে। তাকে নিয়ে অধিনায়কের মূল্যায়ন, ‘হৃদয় প্রত্যেকবার যখন ব্যাটিংয়ে যায় প্রত্যেককেই মুগ্ধ করে।’