আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রায় এক বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে মাঠে নামবে অজিরা। ইনজুরির কারণে এই সিরিজে নেই নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তার পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিবেন মিচেল মার্শ। প্রথমবার অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরা মার্শের তত্ত্বাবধানে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই অজিদের তিন ক্রিকেটারের অভিষেক হতে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ার সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাহাতি পেসার স্পেন্সার জনসন, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ম্যাট শর্ট ও অলরাউন্ডার অ্যারোন হার্ডি। সবশেষ খেলা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের একাদশ থেকে আটটি পরিবর্তন এনে এবারের একাদশ সাজানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা মার্শ, মার্কাস স্টয়েনিস, টিম ডেভিড ও অ্যাডাম জাম্পা আছেন কেবল এই সিরিজে।
নতুন মুখ শর্ট তার অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স সতীর্থ ত্রাভিস হেডের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাটিং করবেন। অন্যদিকে জনসন পেস বোলিংয়ের সূচনাটা করবেন। আর অলরাউন্ডার হার্ডি সাত নম্বরে ব্যাটিং করবেন।
পেসার জনসনকে নিয়ে অজি শিবিরের সবাই বেশ উচ্ছ্বসিত। সম্প্রতি সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে তিনি দারুণ বোলিং করেছেন। অস্ট্রেলিয়া আশা করছি ২৭ বছর বয়সী এই পেসার স্টার্কের যোগ্য উত্তরসূরি হবেন।
জনসনের প্রশংসা করে ত্রাভিস হেড বলেন, ‘জনসন সম্ভবত প্রত্যাশার চেয়ে একটু দ্রুত এসেছে দলে। ক্যারিয়ারের শুরুতে সে অনেক ইনজুরির মধ্য দিয়ে গেছে। সে এমনই একজন যে উচ্চ গতিতে বোলিং করতে পারে এবং নতুন বলকে সুইং করাতে পারে। সে গত কয়েকটি টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে নিজেকে প্রমাণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেস বোলিং করার জন্য তার শরীর উপযোগী। সে বেশ জোরের ওপর বোলিং করতে পারে। তাই আমরা আশা করছি বল হাতে সে আমাদের বোলিং ইনিংসের শীর্ষে থাকবে। সে এমনই একজন হবে যেমনটা আমাদের জন্য স্টার্ক হয়েছিলেন। তার মতো একজন যিনি উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতাতে পারেন।’
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার একাদশ: ম্যাট শর্ট, ত্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), জশ ইঙ্গলিস, মার্কাস স্টয়েনিস, টিম ডেভিড, অ্যারন হার্ডি, শন অ্যাবোট, নাথান এলিস, অ্যাডাম জাম্পা ও স্পেন্সার জনসন।