খেলাধুলা

আরেকবার মেসি জাদুতে জিতলো মায়ামি

মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) নাশভিলের বিপক্ষে খোলসবন্দি ছিলেন লিওনেল মেসি। ইন্টার মায়ামিও সেই ম্যাচে পয়েন্ট খুইয়ে বসে। তবে স্বরূপে ফিরতে মেসির সময় লাগলো মাত্র এক ম্যাচ। আর তাতেই উড়ে গেল এমএলএসের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লস অ্যাঞ্জেলস। মেসি জাদুতে লস অ্যাঞ্জেলেসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মায়ামি।

লিগে প্লে–অফে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকতে প্রতিটি ম্যাচই এখন মায়ামির জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। আজকের ম্যাচটি ছিল বিশেষ কিছু। সেটিও আবার তাদের মাঠেই। এই ম্যাচ খেলেই দেশের হয়ে খেলার জন্য উড়াল দিবেন মেসি। তার আগে উড়িয়ে দিয়ে গেলেন লস অ্যাঞ্জেলসকেও।

যদিও লস অ্যাঞ্জেলসের বিপক্ষে মায়ামির তিন গোলের কোনোটিই মেসির পা থেকে আসেনি। তবে সতীর্থদের পা দিয়ে গোল করানোর কাজটা ঠিকঠাক করেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। মেসির সহায়তা জাল খুঁজে নেন জর্দি আলবা ও লিওনার্দো ক্যাম্পানা।

এদিন শুরু থেকেই পাল্টাপাল্টি আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। তবে প্রথম কয়েক মিনিটে ইন্টার মায়ামির চেয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসই আক্রমণে বেশি এগিয়ে ছিল। ম্যাচের প্রথম ১৩ মিনিটের মধ্যে একাধিক সহজ সুযোগ হাতছাড়াও করে তারা। এমনকি গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ডেনিস বোয়াঙ্গা।

এই ফাঁকে সুযোগ  পেয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো ভুল করেনি মায়ামি। ১৪ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে লিড এনে দেন ফাকুন্দো ফারিয়াস। টিমো আভিলেসের থ্রো পাসকে কাযে লাগিয়ে দারুণ এক স্লাইডিং শটে জাল খুঁজে নেন ফারিয়াস।

মেসির সামনে ভালো সুযোগ আসে ৩৮ মিনিটে। ম্যাচের প্রথম গোলটা পেয়েই গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মেসিকে দারুণভাবে রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।

বিরতির পর ব্যবধান বাড়ায় মায়ামি। বক্সের বাইরে থেকে মেসির বাড়ানো বল ধরে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান ২-০ করেন আলবা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে আবারও মেসি ঝলক। বল পেয়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে নিজে শট নেওয়ার জায়গা না পেয়ে বাড়িয়ে দেন সতীর্থ কাম্পানাকে। দারুণ ফিনিশিংয়ে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন ক্যাম্পানা। এরপর অন্তিম মুহূর্তে লস অ্যাঞ্জেলেসের হয়ে রায়ান হোলিংশেড এক গোল করে ব্যবধান কমালেও তা শুধু সান্ত্বনাই দিয়েছে।

এই ম্যাচ শেষে ২৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএসের পয়েন্ট টেবিলের ১৪ নম্বরেই আছে মায়ামি। ২২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের নিচে আছে কেবল টরোন্টো। প্লে-অফ খেলতে হলে সেরা নয় দলের মধ্য থাকতে হবে মায়ামিকে।